মাথাভাঙ্গা মনিটর: শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছ থেকে ইরাকেরউত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরের দখল নেয়ার পর গত বুধবার পার্শ্ববর্তী বেইজি তেলশোধনাগারও বন্ধ করে দিয়েছে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট সুন্নি বিদ্রোহীরা।ইরাকে মসুল শহর অধিকার করে নেবার পর সুন্নিসম্প্রদায়ভুক্ত ইসলামী জঙ্গিরা তাদের দখলের পরিধি আরও বাড়িয়েছে, যেটাকেযুক্তরাষ্ট্র বর্ণনা করছে মারাত্মক আঞ্চলিক হুমকি হিসেবে। এরই মধ্যে তারাদখল করে নিয়েছে আরেকটি শহর তিকরিতি। এ সেই তিকরিতি যেখানে ইরাকের সাবেকপ্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের জন্ম। পুলিশ বলেছে, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দা লিভ্যান্ট বা আইসিস নামেপরিচিত জঙ্গি গোষ্ঠীটি এবার কিরকুক ও সালেহদিন প্রদেশের কয়েকটি শহরেরও দখলনিয়েছে। গতমঙ্গলবার মসুল ছেড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ পালিয়ে গেছে। তারা মূলতকুর্দিস্তানের তিনটি শহরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। প্রদেশটির আঞ্চলিক সরকারআশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কয়েকটি আশ্রয় শিবির খুলেছে। শিয়া সম্প্রদায় থেকে আসাপ্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকিকে সুন্নি সংখ্যালঘুদের সাথে মিলেমিশেপরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্রজন আর্নেস্ট বলছেন, এটা পরিষ্কার যে ইরাকে সম্প্রতি কিছু মারাত্মকনিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা ও সামরিকসহায়তা দেবার মাধ্যমে ইরাকের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে।এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইরাক পরিস্থিতিতে তিনিওগভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।