স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধভাবে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলারে গতকালবুধবার গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ২৩ জন গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ আহত হয়েছেনঅন্তত ৬১ জন। সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদবলেন, ট্রলারটিতে পাঁচজনের লাশ পাওয়া গেছে।সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিতে ওই ট্রলারটিকে নেয়া হয়েছে। আহত যাত্রীদের সেন্ট মার্টিনে১০ শয্যার হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।কাদেরগুলিতে এ পাঁচজন নিহত এবং অনেকে আহত হলেন?এমন প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশকর্মকর্তা জানান, মিয়ানমারের সরকারি কোনো বাহিনীর হাতে নয়; দালালদেরপক্ষের সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন যশোরেরহরিরামপুর গ্রামের মো. রশিদের ছেলে মো. সেলিম (৩১) ও মো. মোকামের ছেলে মো.রুবেল (৩৫), বগুড়ার কাহালু এলাকার সাইফুল ইসলাম (৪০) ও সিরাজগঞ্জের মো.মনির (৩০)। অপর ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কোস্ট গার্ড বাহিনী।তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি গতকাল সকালে বিকল হয়ে পড়ে। ওই ট্রলারে থাকা নরসিংদীর বীরপুর এলাকার মিঠুন নামের এক ব্যক্তি একপ্রতিবেদকের কাছে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফোন করেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতেবলেন, ‘ভাই, আমরা ৩০০ মানুষ সাগরে ভাসতেছি। আমাদের বাঁচান, ভাই। গুলিচালাইতেছে। গুলি আসতেছে। আমাদের চারজন মারা গেছে। বিমান বা হেলিকপ্টারদিয়ে আমাদের বাঁচান। নইলে আমরা আর ফিরতে পারব না।’
গুলি চালানোর ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কাজী হারুনুর রশীদ দুপুরেবলেন, বঙ্গোপসাগর দিয়ে মালয়েশিয়া যেতে হলে ট্রলারগুলোকে মিয়ানমারেরজলসীমার কাছ দিয়ে যেতে হয়। ট্রলারটি যেহেতু বিকল হয়ে পড়েছে, তাই স্রোতযেদিকে টানবে, সেদিকেই সেটি ভাসবে। সে হিসেবে ট্রলারটি মিয়ানমার সীমান্তেরদিকে যেতে পারে। সেদিকে গেলে তারা গুলি চালাতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরাট্রলারের একজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তারা ট্রলারটিতে গুলি চালিয়েছে।’
কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে কোস্ট গার্ডের সদস্যরাবেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিকল ট্রলারটি উদ্ধার করতে যান। পৌনে তিনটার দিকেকোস্ট গার্ডের দল ভাসমান ট্রলারটির কাছে যায়। বিকল ট্রলারটিকে কোস্টগার্ডের তিনটি ট্রলারের সাথে বেঁধে সেন্ট মার্টিনে আনা হয় সন্ধ্যা সোয়া৬টার দিকে।