বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা বেগমপুরের মাদকব্যবসায়ী আব্বাচ আলী ফেনসিডিলের টাকা আত্মসাৎ করতে সাজিয়েছে অপহরণ নাটক। সমঝোতা শেষে বাড়ি ফিরেছে সে।
এলাকাঘুরে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর বিলপাড়ার আনু মিয়ার ছেলে এলাকার চিহ্নিত ফেনসিডিল ব্যবসায়ী আব্বাচ আলী গত রোববার রাতে আকন্দবাড়িয়া ও রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের জনৈক ফেনসিডিল ব্যবসায়ীর ৬৬০ বোতল ফেনসিডিল মাইক্রোযোগে ঢাকা গুলশানে পৌঁছে দেবার বন্দোবস্ত নেয় আব্বাচ আলী। কথা অনুযায়ী আব্বাচ ঢাকা থেকে একটি মাইক্রো ভাড়াও করে আনে। মাইক্রোতে সেট করে ফেনসিডিল ঢাকায় নেবার পথে যমুনা সেতুর নিকটবর্তী পৌঁছুলে মাইক্রো ড্রাইভার গাড়িতে থাকা দুজনকে পুলিশি অজুহাত দেখিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। সুযোগ বুঝে ড্রাইভার ফেনসিডিল ভর্তি গাড়ি নিয়ে সটকে পড়ে। গাড়িতে থাকা ওই দুজন বাড়ি ফিরে আব্বাচের স্মরণাপন্ন হয়। এক পর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে আব্বাচকে জনৈক ফেনসিডিল ব্যবসায়ীরা শিয়ালমারী পশুরহাট থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে এবং কৌশলে ওই ফেনসিডিলের টাকা না দেয়ার জন্য নিজে অপহরণ হয়েছে বলে বাড়িতে খবর পাঠায়। বাড়ির লোকজন স্থানীয় বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশকে সাথে নিয়ে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রাম থেকে আব্বাচকে নিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী বিলপাড়ার আমিনদ্দিনের ছেলে ছোট বাবু ঘটনার আড়ালে থেকে জনৈক ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের চালানটি চোট করে দেয়। খবর পেয়ে বেগমপুর ক্যাম্পপুলিশ রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের আমবাগান থেকে অপহরণের নাটক সাজানো আব্বাচকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী জানায়, আব্বাচের ঝিনইদহ জেলার পদ্মপুকুর গ্রামে বাড়ি। শুধু মাদকব্যবসা করার জন্য বেগমপুরের বিলপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে থাকে। এবিষয়ে অভিযুক্ত আব্বাচ আলী ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলে, ফেনসিডিল খোয়া যাবার পেছনে আমার কোনো হাত ছিলো না। এবিষয়ে বেগমপুর ক্যাম্পপুলিশের ইনচার্জ এসআই মোহাব্বত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।