মেহেরপুরে নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল চেকিং অভিযান

 

 : দু সপ্তায় অর্ধকোটি টাকার বেশি রাজস্ব জমা : চুয়াডাঙ্গা পুলিশ নমনীয়

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর জেলাজুড়ে ব্যাপকভাবে মোটরযান চেকিং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের এ অভিযানের ফলে মাত্র দু সপ্তায় সরকারি কোষাগারে অর্ধকোটিরও বেশি টাকা রাজস্ব জমা পড়েছে। তবে একই অভিযানের নির্দেশনা থাকলেও সেদিক দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় অভিযান নেই বললেই চলে। এ কারণে চুয়াডাঙ্গায় অবৈধভাবে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান গত ৪ মে ১৭৪(১৯১) নম্বর পত্রে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর মোটরযান অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেন। সে মোতাবেক মেহেরপুর পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গত মোটরযান চেকিং অভিযান শুরু হয়। মেহেরপুরে প্রথমে ১৫ মে থেকে ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হয়। এরপর ২৬ মে থেকে নম্বর ও কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল চেকিং অভিযান শুরু হয়। ওই দিন থেকে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইন্সুরেন্স করার হিড়িক পড়ে যায়। খবর নিয়ে জানা গেছে আটককৃত গাড়ির ব্যাপারে কারো সুপারিশই নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। ফলে ২৫ মে থেকে গতকাল ৯ জুন পর্যন্ত মেহেরপুরে এ খাতে রাজস্ব জমা পড়েছে ৫০ লাখ ৩ হাজার ২৫২ টাকা। এ ছাড়া দুজনের বেশি মোটরসাইকেলে আরোহণ, লকিং গ্লাস না থাকার ব্যাপারেও জরিমানা করা হয়েছে অভিযানে। অভিযান শুরুতেই পুলিশ সুপার জানান, মেহেরপুরে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল চেকিং অভিযান চললেও তা চোখে পড়ার মতো নয়। এ কারণে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপকভাবে রেজিস্ট্রেশন বিহীন গাড়ি চোখে পড়ছে। চুয়াডাঙ্গায় কোথাও কোথাও মাঝে মাঝে অভিযান চললেও পুলিশকে নমনীয় ভূমিকায় দেখা যায়। অভিযোগ আছে পুলিশ টাকা নিয়ে বা কারো সুপারিশে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয়। এ কারণে রেজিস্ট্রেশন করার ব্যাপারে অনেকেই তাগিদ অনুভব করে না। এ কারণে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ এবং পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলে সচেতন মহল মনে করে।