স্টাফ রিপোর্টার: ভারতীয় নাগরিক অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়াস্বেচ্ছায় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের আবেদন করায় তার আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে সাজাভোগ করার পর বন্দিহিসেবে বাংলাদেশের কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীআসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান। অপর একপ্রশ্নে মন্ত্রী জানান,ড়পুলিশের সকল ইউনিট সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।র্যাব-পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত একটি ইউনিট হওয়ায় ওই প্রক্রিয়ার অংশহিসেবে রয়েছে এবং থাকবে। এ হিসেবে র্যাবেরও সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত।স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনেপ্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। নোয়াখালী ২’র মোরশেদ আলমের প্রশ্নেরজবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরসংখ্যা ১৯ হাজার ৭১৩ জন। হাজতি বন্দির সংখ্যা ১০৭১, বিদেশি মুক্তিপ্রাপ্তবন্দির সংখ্যা ৮৮। গত ২৮ মে পর্যন্ত দেশের কারাগারে মোট বন্দি রয়েছেন৬৬ হাজার ৪৬৫ জন। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের মো. আবদুল্লাহ’র অপর এক প্রশ্নের জবাবদিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পাসপোর্ট অফিসেরঅনিয়মের পাশ কাটিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন সংসদে। মো. আবদুল্লাহপ্রশ্ন করেন আগারগাঁও ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে বিভিন্ন অনিয়ম ওঅব্যবস্থাপনা লক্ষণীয়।
এছাড়া, পাসপোর্ট প্রার্থীরা ছোট ছোট জায়গায় ঘণ্টারপর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। জরুরি ভিত্তিতে এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাদূর করে একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা করবেনকি-না?জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ই-৭আগারগাঁও-এর কার্যালয়ের নিজস্ব ভবনে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। ওই ভবনের পাশেই বিভাগীয়পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও, ঢাকা-এর নবম তলাবিশিষ্ট নিজস্ব ভবননির্মাণাধীন রয়েছে। ভবনটির চতুর্থ তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে।নতুন এই ভবনে ২৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ৬৩টি ফ্যান ও ৪৫টি ভিজিটর চেয়ার আছে। সহসাই ভবনটির পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হলে পাসপোর্ট প্রার্থীদেরভোগান্তি কমে আসবে।
র্যাবে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত:এদিকেপ্রশ্নোত্তরপর্বে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, র্যাপিড অ্যাকশনব্যাটালিয়ান (র্যাব) পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত একটি ইউনিট। পুলিশস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা হওয়ায় র্যাবকে পৃথকড়স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে গঠনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি। হাবিবুর রহমান মোল্লারএক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রায় একই প্রশ্ন করেননেত্রকোনা ১-এর এমপি ছবি বিশ্বাস। তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছেপ্রশ্ন করেন, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার বিতর্কিতকর্মকাণ্ডের কারণে র্যাব বিলুপ্তি দাবি করে যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকেউস্কে দিচ্ছেন তাদের জবাবে র্যাব সংস্কার ও শুদ্ধি অভিযান করে আধুনিক ওচৌকস বিশেষ বাহিনী করা হবে কি-না?উত্তরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, র্যাব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষেবিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের সকল ইউনিট সংস্কার একটি চলমানপ্রক্রিয়া। র্যাব পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত একটি ইউনিট হওয়ায় উক্তপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রয়েছে এবং থাকবে।