সোহাগমোড়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ হত্যা : শাশুড়ি গ্রেফতার

 

বিয়ের কিছুদিনের মাথায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন : হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

 

মুর্শিদ কলিন/সাইদুর রহমান:বিয়ের দেড় বছরের মাথায় লাশ হলেন আলমডাঙ্গা শালিখা সোহাগমোড়ের বধূ শাহিনা খাতুন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্বামী রতনের ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় শাহিনার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তার পিতা পার্শ্ববর্তী খোরদ গ্রামের শাহিদুল ইসলাম শাহেদ। এ অভিযোগে শাহিনা ওরফে শাহিদার শাশুড়ি রেকসোনা ওরফে বুড়ি বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শাহিনা ওরফে শাহেদা খাতুন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে দাবি করেছে তার পিতা পক্ষ। স্বামী রতনসহ পরিবারের অন্যরা আত্মগোপন করেছে। লাশ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আজ শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত করা হবে। শাহিনার পিতা বাদী হয়ে গতকালই হত্যা মামলা রুজুর প্রক্রিয়া করেন। পুলিশ বলেছে, প্রাথমিকভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন শালিখা সোহাগমোড়ের সেলিম হোসেনের ছেলে রতনের সাথে পার্শ্ববর্তী খোরদের শাহিদুল ইসলাম শহিদের মেয়ে শাহিনা ওরফে শাহেদা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে স্বামী। প্রতিবেশীরা নির্যাতনের বিষয়টি জানলেও তেমন প্রতিবাদ করেনি। শাহেনা খাতুনের পিতা এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে জামাই রতন যৌতুক দাবি করে। মেয়ের ওপরনির্যাতন শুরু করে । মেয়ের সুখের জন্য টাকাও দিয়েছিলাম । চার মাস আগেমেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়, সে সময় থেকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আবারঅত্যাচার শুরু করে। শ্বশুরবাড়িতে আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করাহয়েছে।

আলমডাঙ্গাথানার সেকেন্ড অফিসার সেকেন্দার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের কারণে শাহেদা খাতুনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তীবন্দরভিটা গ্রাম থেকে শাশুড়ি রেকসোনা ওরফে বুড়ি বেগমকে আটক করা হয়েছে। তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।