মাথাভাঙ্গা মনিটর: পেশাদারি ফুটবলে দুজনেরই শুরু সান্তোসের জার্সি গায়ে। ১৯৫৬ সালে পেলে আর২০০৯ সালে নেইমার। খেলার ধরন দেখে অনেকেই পেলের ছায়া দেখেছিলেন নেইমারেরমধ্যে। এমন তুলনাকে একসময় পেলেও প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। সেরাদের সেরা হওয়ারযোগ্যতা যে নেইমারের আছে, সেটা বিশ্বাসও করেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।কিন্তু নেইমার সেই আশা এখনো পূরণ করতে পারেননি বলেই মন্তব্য করেছেন পেলে।নেইমারেরশারীরিক গড়ন বেশ হালকা-পাতলা। একটুতেই পড়ে যান মাটিতে। প্রতিপক্ষকেবিপদে ফেলার জন্য মাঝেমধ্যে অভিনয় করেন; এমন অভিযোগও আছে। বিশ্বকাপের আগেব্রাজিলিয়ান তারকার এ ডাইভ-প্রবণতাই ভাবিয়ে তুলেছে পেলেকে।সম্প্রতিএক সাক্ষাত্কারে ব্রাজিল কিংবদন্তি বলেছেন, তাকে অনেক কিছু বদলাতে হবে।আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। আর তাকে দাঁড়িয়েথাকাটা শিখতে হবে। খুব দ্রুতই মাটিতে পড়ে যাওয়া যাবে না। নেইমারেরবার্সেলোনায় বদলিটা এই দিক থেকে খুবই ভালো হয়েছে। কারণ, ইউরোপে খেলা হয়শক্তি দিয়ে। ডিফেন্ডাররা গায়ের সাথে সেঁটে থাকে। নেইমার ভালো পথেই আছে।কিন্তু আমি যা আশা করেছিলাম,তার থেকে সে অনেক দূরে আছে।
মাত্র ২২ বছরবয়সেই যথেষ্ট তারকা খ্যাতি পেয়েছেন নেইমার। ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপশিরোপা জয়েরও প্রধান কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান এফরোয়ার্ডকে। সেরা ফুটবলার হওয়ার জন্য নেইমারকে যে বিশ্বকাপ জিততেই হবেসেটাও আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পেলে,তাকে কিছু বাধা পেরোতে হবে।বিশেষত, বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য জিততে হবে বিশ্বকাপ শিরোপা।