স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ মক্তিযোদ্ধা সংসদের ত্রিবার্ষিক নিবাচনে চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর উপজেলা ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার এবং চুয়াডাঙ্গা সদরে রিজিয়া খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণের দাবিতে লিখিত আবেদন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা।
আবু হোসেন প্যানেলের পক্ষে সহকারী ইউনিট কমান্ডার (সাংগঠনিক) প্রার্থী মো. আতিয়ার রহমান জেলা রিটার্নিং অফিসার ও আবু হোসেন, শুকুর বাঙালী, হাফিজুর রহমান এবং গোলাম সরোয়ার বাবলু সদর উপজেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর পৃথক পৃথক দুটি লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদনে মো. আতিয়ার রহমান দাবি করেছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর উপজেলা দুটি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রতিপক্ষ জেলা কমান্ডার উচ্ছৃঙ্খল লোকজন দিয়ে ভোট ছিনতাই করার ষড়যন্ত্র করছে। সেকারণে ভোটকেন্দ্রের মধ্যে এবং কেন্দ্রের আশেপাশে বহিরাগত কোনো লোকজন ঘোরাঘুরি করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা বেষ্টনির অনুরোধ করেছেন। এছাড়াবেশকিছু মৃতব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং কিছু কিছু ভোটার একই ব্যক্তি দু জায়গায় নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ সব ভোটার ব্যক্তি চিহ্নিত করার দাবি করেছেন তিনি।
আবু হোসেন, শুকুর বাঙালী, হাফিজুর রহমান এবং গোলাম সরোয়ার বাবলু সদর উপজেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়টি ও মুক্তিযোদ্ধাদের চলাচলের সুবিধার্থে ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল আমিন জানান, ‘ভোটকেন্দ্র রিজিয়া খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ভোটকেন্দ্র হিসেবে আগেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো রয়েছে। এছাড়াসদর উপজেলা পরিষদের কাছাকাছি হওয়ায় দেখভাল করা সুবিধা হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশাসন অবশ্যই দেখবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা জানান ‘কেন্দ্রের স্থানটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঠিক করেন এবং নাম আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’