চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ধার্যকৃত হোল্ডিং ট্যাক্স অস্বাভাবিক : পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন শুরু

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন ঘরবাড়ির নতুন ধার্যকৃত কর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। নতুন করের তালিকা দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। ১ শ টাকার কর বাড়িয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছর থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এমনই হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে বলে পৌরসভাধীন বসবাসকারী অনেকেই অভিযোগ করেছেন। বর্তমান সংশোধিত পৌরকর পুনর্বিবেচনার জন্য দরখাস্ত করতে পৌরসভায় আসা অনেকেই ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন নতুন করে যে কর ধার্য করা হয়েছে তা অস্বাভাবিক এবং অবান্তর।

গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় নতুন ধার্যকৃত হোল্ডিং কর কমিয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য দরখাস্ত করতে আসেন চুয়াডাঙ্গা গোরস্তানপাড়ার শুকুর আলী। তার ভাতিজা বলেন, আমাদের কর ছিলো দেড়শ টাকা। নতুন করে কর বসানো হয়েছে ৫ শ ৩০ টাকা। বাসস্ট্যান্ডপাড়ার হুসনে বানুর কর ৩শ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬শ ৯০ টাকা করা হয়েছে। একই পাড়ার সাজেদা বানুর কর ১ হাজার ২শ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ২শ টাকা করা হয়েছে। এ পাড়ার আব্দুর রহমান মানী ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন- আমার বাড়ির কর ২২০ টাকা থেকে ৬ হাজার ৩৮০ টাকা করা হয়েছে। এতো টাকা দেয়া কোনোমতেই সম্ভব নয়। গোরস্তানপাড়ার নসিরন নেছা জানান, তার ১শ টাকা থেকে ৮৩০ টাকা করা হয়েছে। পুরাতন মসজিদপাড়ার রকিবুল ইসলাম বলেন ৫৩০ টাকার কর করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৭০ টাকা। হাসপাতালপাড়ার আজিবর রহমানের কর ১৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ। মুন্সিপাড়ার আব্দুর রশিদের ৮০ কর হয়েছে ৯৯০ টাকা। ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার শিক্ষক মনিরুজ্জামানের ২৬০ টাকার কর বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা। পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারীর মোশারফ হোসেন জানান তার সাড়ে ৪শ টাকার কর বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৯৪৫ টাকা। যা আমার কাছে অবান্তর মনে হয়েছে। বেলগাছি ঈদগা পাড়ার মো. দিনু শেখ অভিযোগ করেন, আমার ৮০ টাকার কর রাতারাতি কীভাবে ১ হাজার ৬৫০ টাকা হলো তা বুঝ আসছে না।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নতুন ধার্যকৃত কর কমানোর জন্য আগামী ১০ জুন পর্যন্ত দরখাস্ত করা যাবে। গতকাল থেকে এ দরখাস্ত শুরু হয়েছে। ধার্যকৃত পৌরকর পুনর্বিবেচনার জন্য পৌর মেয়রের কাছে গতকাল পৌরসভাধীন অনেকেই আবেদন করেন। আবেদন করতে আসা পৌরবাসী অনেকেই বলেছেন, যেভাবে বাসাবাড়ির ওপর পৌরকর বসানো হয়েছে আমরা সেভাবে পৌর সুযোগ-সুবিধা পাই না। তারা বলেন আমরা পৌরপিতার কাছে আবেদন করি উনি যেন, সুবিবেচনায় নিয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ পৌরকর নির্ধারণ করেন।