সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যা মামলার তদন্ত অব্যাহত

 

রিমান্ডের আসামি নিমাইকে হাসপাতালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার:সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যা মামলার রিমান্ডের আসামি নিমাই ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুকের ব্যথার কারণে তাকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিমাই ঘোষ ও মোমিনকে গত পরশু বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিআরপি দর্শনা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবু মোনায়েম।আজ শনিবার রিমান্ড শেষ হচ্ছে। রিমান্ডের দু আসামির নিকট থেকে সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তেমন তথ্য উদ্ধার করতে না পারলেও মামলার আইও বলেছেন,সাংবাদিক সদরুল আলম নিপুল হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো প্রকারের ত্রুটি করা হচ্ছে না।অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান মুনসী বলেছেন,ছায়াতদন্তে নেমে আমরা সাংবাদিক সদরুল নিপুলের জনপ্রিয়তা দেখে চমকে উঠছি।মোমিনপুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুবাদে এবং তিনি তার অমায়িক ব্যবহারেই এলাকার ছোট-বড় সকলের পছন্দের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যে মাদকচক্র নির্যাতনের পর রেললাইনে ফেলে হত্যা করেছে তাদের অনেকেই আত্মগোপন করেছে।গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।প্রধান সন্দেহভাজন মাদকচক্রের পাশাপাশি একই এলাকার মুখোশধারী অপর চক্রের গতিবিধিও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংবাদিক সদরুল নিপুলকে ডেকে নিয়ে ফুঁসলিয়ে মাদকদ্রব্য প্রয়োগের পর নির্মম নির্যাতন করে রেললাইনে ফেলে হত্যাকাণ্ড যেমন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছে,তেমনই একপক্ষ হত্যা করে অন্য চক্রের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে কি-না তা ঘটনার পর থেকেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা মোমিনপুর ইউনিয়নের নীলমণিগঞ্জের মরহুম নূর মোহাম্মদের ছেলে সদরুল নিপুল ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি।এক সন্তানের জনক সদরুল নিপুলকে গত ২০ মে রাতে তার বাড়ির অদূরবর্তী মোমিনপুর রেলওয়ে স্টেশনে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। নিথর দেহ রেললাইনের ওপর ফেলে রাখে ঘাতকচক্র।রেলেকাটা খণ্ডবিখণ্ড মৃতদেহ পরদিন ভোরে উদ্ধার করে জিআরপি।জিআরপি পোড়াদহ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।সদরুল নিপুলের স্ত্রী নিলিমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রেলওয়ে পুলিশের দর্শনা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোনায়েম মামলার তদন্ত করছেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশে সদর থানা পুলিশ ছায়া তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যেই আমিরপুর হঠাৎপাড়ার শামসুলের ছেলে মোমিন ও মৃত গোপাল ঘোষের ছেলে নিমাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার থেকে এদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। গতকাল দুপুরে নিমাইকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় পুলিশ। বুকে ব্যথার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।