সাংবাদিক হত্যার বিচার না হলে গোটা সমাজ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে

সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত : বক্তাদের উক্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত দুজন মোমিন ও নিমাইয়ের রিমান্ড শুরু হচ্ছে আজ।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিআরপির দশনা ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আবু মোনায়েম এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, সাংবাদিক সদরুল নিপুলকে হত্যার পর রেললাইনে ফেলা হয়েছিলো নাকি মাথায় আঘাতের পর আঘাত করে মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে ট্রেনে কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ঘাতকচক্র?এ প্রশ্নের জবাব শুধু ময়নাতদন্তেই মিলবে না, আশা করছি-রিমান্ডের আসামিদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসবে। তা ছাড়া মাথায় আঘাত কী ক্যাপ্টেনই করেছিলো নাকি হাবিবসহ অন্যরা?তাও জানার চেষ্টা চলছে।

সাংবাদিক সদরুল নিপুলকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মাদকাসক্ত চক্রের সদস্য মোমিনই চুয়াডাঙ্গায় নেয়। সেখান থেকে আমিরপুর রেলস্টেশনে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নেয়ার পর সাংবাদিক সদরুল নিপুল বাড়ি ফেরে। মোমিনের আহ্বানেই সদরুল নিপুল পুনরায় বাড়ি থেকে বের হয়ে স্টেশনে যায়।এরপরই তার ওপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে ক্যাপ্টেন গ্যাং।পুলিশের ছায়া তদন্তে ইতোমধ্যেই এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।এ ছাড়াও দিনমজুর সাইফুলকে ঘটনার রাতে সরিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছেযে, সদরুল নিপুল হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত।

এদিকে সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গা, মুন্সিগঞ্জ ও দামুড়হুদায় সাংবাদিক জনতা তথা পেশাজীবী সংগঠনসমূহ মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

                আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে,সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আলমডাঙ্গায় মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা হাইরোডের উপজেলা গেটের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে আলমডাঙ্গায় কর্মরত সকল সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেবের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আলমডাঙ্গা পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক আফিল উদ্দীন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম পকু মিয়া, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অপরাংশের সভাপতি শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল হক খান, আলমডাঙ্গা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মুহিত, প্রাইম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ইদ্রিস খান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক, মুনসুর আলি, যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সাবেক কমিশনার শাহিন রেজা। আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের একাংশের সভাপতি হামিদুল ইসলাম আজমের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার কামরুজ্জামান হিরা, আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক আফম সিরাজ সামজী, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান বকুল, আলাউদ্দীন পাঠাগারের পরিচালক গোলাম রহমান চৌধুরি, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির পরিচালক মাসুদ রানা লিটন, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ডা. অমল কুমার বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব টিটার খান, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম সাগর, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক প্রশান্ত বিশ্বাস, রহমান মুকুল, রোকন, কেএ মান্নান, মুর্শিদ কলিন, ফিরোজ ইফতেখার, ইউনুস আলি, আব্দুর রাজ্জাক, জামিরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, সোহেল আহমেদ, মোশারফ হোসেন, উদ্ভাস সাহিত্য আড্ডার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, নাজমুল হক, রুবেল, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, পিন্টু প্রমুখ। প্রতিবাদসভায় সাংবাদিকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দ্রুত নিপুল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তা না হলে সারাদেশের সাংবাদিক সমাজ পেশাগত ঐক্য সৃষ্টি করে মাঠে নামার ঘোষণা দেন।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিজানিয়েছেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গার সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ যুব সমাজ ও এলাকাবাসীর উদ্যেগে মুন্সিগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জবাসী আন্দোলন চালিয়ে যাবে।গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ বাজারে দৈনিক মাথাভাঙ্গার সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষা অনুরাগী গুণীজন আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুব উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, শাহার আলী, ডাক্তার জাহান আলী, আনিছুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছাহক, আব্দুল বারেক, লাবলু চৌধুরী, হাসিবুল, আবুল, নজরুল ইসলাম, হাসেম মেম্বারসহ আরো অনেকে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা রহিদুল, শিলন, মস্তফা, মঈন, জসিম, নয়ন, বিপ্লব, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম, ইব্রাহিম, সুজন, শাওন, সুমন, রাজু, সাগর, রানা, রুবেল, পলাশ, আনারুল, কানন, আলমগীর, হুমায়ন, এনামুল, সাংবাদিক খাইরুজ্জামান সেতু. অনিক সাইফুল, শেখ সাইদ আহম্মেদ মিঠু, হুসাইন মালিক, হিরো, মামুন, নাজমুল, বিকুসহ এলাকার সকাল স্তরের এলাকাবাসী।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিক সদরুল নিপুল ছিলেন একজন সত্যিকারের কলম যোদ্ধা। তাকে যে পরিকল্পিতভাবে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা এলাকাবাসীর কাছে পরিষ্কার। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত পুলিশ তাদের চিহ্নিত করেছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে এলাকার জনগণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে,সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে, দামুড়হুদার সাংবাদিকরা সুধী জনতাকে সাথে নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদসভা করে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সন্ধ্যায় স্মারকলিপি পেশ করা হয়। দামুড়হুদার বাসস্টান্ডে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিটের সাংবাদিকবৃন্দ তাদের বক্তবে বলেন, নির্মম জঘণ্য হত্যার শিকার সাংবাদিক সদরুল নিপুল ছিলেনচুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক গণমাধ্যম দায়িত্বশীল পত্রিকা দৈনিক মাথাভাঙ্গার একজন সাংবাদিক। বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার কারণে, চিহ্নিত একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে গত ২০ মে তাকে নৃশংস হত্যা করে। হত্যার পর খুনি ঘাতক চক্রটি, ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য, তার নিথর দেহ রেললাইনের মাঝে ফেলে রাখে। দুঃসাহসিক এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে এ সাংবাদিক-জনতা জানতে চায় অনতিবিলম্বে। এ নির্মম হত্যাকারী যেই হোক, তাদেরকে চোখের দেখা দেখতে চায় এরা।

বিনয়ের সম্মানের সাথে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার সাথে জড়িতদের আপনারা অনুগ্রহ করে দ্রুত গ্রেফতার করুন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। নইলে এ অন্যায় খুব শিগগিরই আপনার ঘরের দোরগোড়ায় প্রবেশ করবে। তার কারণ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের যদি এভাবে খুন হতে হয়, আর সেই খুনের যদি বিচার না হয়, প্রতিবাদীদের সংখ্যা দিনদিন কমতে শুরু করবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা যদি নিশ্চুপ হয় তাহলে নাকি ওদের অন্যায় কাজ করতে খুব সহজ হয়।

পুলিশ প্রশাসনকে সম্মানের সাথে আরো বলেন, আমরা অতি সাধারণ। আমাদের কাছে থাকে না আপনাদের মতো কোনো আগ্নেয়াস্ত্র। আমাদের কাছে থাকে একটি মাত্র কলম। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ আমাদের যেমন পেশা তেমনি নেশা। দয়া করে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সেই সাথে সাংবাদিক নিপুল হত্যাকারীদের খুঁজে বের করুন।

পরিশেষে সাংবাদিকরা প্রশাসনের কাছে দাবি করে বলেন, সাংবাদিক নিপুল হত্যা মামলাটি চুয়াডাঙ্গা জেলার রোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে গ্রহণ করেএ জঘণ্য হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের তড়িত গেফতার করে, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি এম নুরনবীর সভাপতিত্বে বখতিয়ার হোসেন বকুলের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক বক্তারা হলেন, দর্শনা প্রেসক্লাব থেকে হানিফ মণ্ডল, আওয়াল হোসেন, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, চঞ্চল মেহমুদ ও নজরুল ইসলাম,দামুড়হুদা প্রেসক্লাব থেকে আব্দুস সালাম ও তাছির আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান, মো. শাহাবুদ্দিন, শামসুজ্জোহা পলাশ, আব্দুল আলীম, এমএ হাসেম, মোজাম্মেল হক, শেখ সাদিক, সাইফুল ইসলাম, সুজা উদ্দিন ও জহির মেম্বার।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে,সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ঘাতকচক্রের সকলকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার মামলাটি জেলার চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে গ্রহণ করণের উদ্দেশে দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি হানিফ মণ্ডল, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি কামরুজ্জামান যুদ্ধ, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সহসভাপতি চঞ্চল মেহমুদ ও দর্শনা প্রেস ক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের নীলমণিগঞ্জের মরহুম নূর মোহাম্মদের ছেলে সদরুল নিপুল ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি। গত ২০ মে রাতে তাকে তার বাড়ির অদূরবর্তী মোমিনপুর রেলস্টেশনে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে স্থানীয় একটি মাদকচক্র। নির্যাতনের পর মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে দেয় রেললাইনের ওপর। পরদিন ট্রেনে কাটা ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে জিআরপি। হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য রেললাইনের মধ্যে ফেলে রাখলেও ঘাতকচক্রের নির্যাতনে রক্তাক্ত সদরুল নিপুলের রক্ত প্লাটফর্মে থাকার কারণে হত্যার বিষয়টি আর আড়াল করতে পারেনি তারা। যে ইট দিয়ে সদরুল নিপুলের মাথায় আঘাত করা হয় সেই ইটও উদ্ধার করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।