আলম আশরাফ: গ্রামাঞ্চলেএক সময় হা-ডু-ডু,কাবাডি,লাঠিখেলা,দাড়িয়াবাঁধা,দড়িঝাঁপ,গোল্লাছুট,কানামাছি ভোঁ ভোঁ,এক্কা-দোক্কা,ডাংগুলি,চোর-পুলিশ,বৌচি,হাঁড়িভাঙা,কিতকিত,গাদন,লুকোচুরি,মোরগলড়াই,ষাঁড়ের লড়াইসহশতাধিক খেলাধুলার প্রচলন ছিলো।এসব গ্রামীণ খেলাধুলা প্রায়হারিয়েযাচ্ছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব খেলাধুলার প্রচলন না থাকায় গ্রামীণজনপদ তাদের নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। খেলাগুলো এখন গ্রামাঞ্চলে নেই বললেই চলে।অথচ গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য এ খেলাগুলোর সাথে জড়িয়ে রয়েছেআমাদের পূর্বপুরুষের শেকড়। আজ হারিয়ে যাওয়া এসবখেলাধুলা ধরে রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগনেয়া হয়েছে।এরই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের নিয়ে গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুরোনো স্টেডিয়ামে এ খেলার উদ্বোধন করা হয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন ও বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
গ্রামীণ পর্যায়ের ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হা-ডু-ডু, বৌচি, কানামাছি ভো ভো,মোরগলড়াই, দাড়িয়াবাঁধাসহ৬টি ইভেন্টে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ছেলে-মেয়েরা অংশগ্রহণ করে। ওই খেলায় বিজয়ীদের পরবর্তীতে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে। খেলাগুলো পরিচালনা করেন ফজলুল হক মালিক, ওবাইদুল হক জোয়ার্দ্দার, মতিয়ার রহমান, শহিদুল ইসলাম কদর ও মো. শিল। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সদর উপজেলা নাজির রোমানা আক্তার।