সীমান্ত হাট দ্রুত স্থাপনে উভয়দেশ আন্তরিক
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের তিনটি স্থানে সীমান্ত হাট স্থাপনের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। জীবননগরের চ্যাংখালী, দর্শনার জয়নগর ও মেহেরপুরের মুজিবনগরে এ হাট বসানো হবে। স্থান ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সীমান্ত হাটে প্রথমে বাংলাদেশি কৃষকেরা তাদের উৎপাদিতসবজি বিক্রি করতে পারবেন। ভারতীয়রা ফল ও মসলা বিক্রির সুযোগ পাবে।
গতকাল সোমবার বিকেল ৫টা থেকে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে দর্শনা আইসিপি সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে উপরোক্ত বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। এ ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে শিশু-নারী পাচার রোধে সীমান্ত প্রহরীদের আরো আন্তরিকতার পাশাপাশি ভারত থেকে যাতে মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে।
পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১১৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট ভিরেন্দ্র দত্ত। বিজিসূত্র বলেছে, পতাকা বৈঠকে শূন্য লাইন হতে দেড়শ গজের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেন পিলার ৮৫/৮-আর হতে মেন পিলার ৮৯ পর্যন্ত আনুমানিক ৩ দশমিক ৫ কি. মি. (মেন পিলার ৮৫/৮-আর হতে মেন পিলার ৮৬ পর্যন্ত ৯শ মিটার এবং মেন পিলার ৮৭/৩-আর হতে মেন ৮৯ পর্যন্ত ২.২ কি.মি.) পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হবে। রাস্তা নির্মাণের স্থানগুলো যৌথ পরিদর্শনও করা হয়। এ ছাড়াশূন্য লাইন বরাবর বর্ডার হাট স্থাপন, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, ভারত থেকে কোনো মাদকদ্রব্য যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে নাপারে, নারী ও শিশু পাচার রোধ শূন্যের কোটায় নেয়া এবং অবৈধভাবে কোনো বাংলাদেশি-ভারতীয় নাগরিক সীমান্ত পারাপার যাতে না হতে পারে- এসব বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল মনিরুজ্জামান বলেছেন, পতাকা বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত হাট যতো দ্রুত সম্ভব চালু করার বিষয়ে উভয় দেশই আন্তরিক রয়েছে।