চুয়াডাঙ্গার রংধনু এসএসসি পরীক্ষায় অক্ষুণ্ণ রেখেছে তার গৌরব

 

জিপিএ-৫ বাড়লেও খুব খুশি নন সালাম স্যার

স্টাফ রিপোর্টার: জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেই চুয়াডাঙ্গার শিক্ষানুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগে রংধনুর রেজাল্ট কী? রংধনু এবারও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তার গৌরব অম্লান রাখলেও যার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা সহযোগী শিক্ষাদান কেন্দ্র রংধনু, তিনি অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেননি। তিনি বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও আশানুরূপ হয়নি।

রংধনুর ১৪৪ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯ জন। এর মধ্যে সকল বিষয়ে এপ্লাস পেয়েছে ১৭ জন। এ গ্রেড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ জন। এক বিষয়ের জন্য জিপিএ-৫ হয়নি এমন শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯ জন। এরপরও আশানুরূপ নয় কেন? জবাবে রংধনুর প্রাণপুরুষ, যে মানুষটি নিজের দক্ষতায় নিজেকে ইতোমধ্যেই সালাম স্যার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি বললেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আমার শিক্ষাদান কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা সফলতা পাচ্ছে, অথচ এসএসসি পরীক্ষায় কেন যে এমন হলো, হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। চেষ্টায় কিন্তু ত্রু টি নেই।

আব্দুস সালাম বললেন, চুয়াডাঙ্গার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অভিমতের সাথে আমিও একমত। দরকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে আগামীতে আশানুরূপ ফলাফল অর্জন সম্ভব হবে। চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে আমার আন্তরিকতায় কখনোই কমতি ছিলো না। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করানোর কাজে নিজেকে সর্বাত্মক ব্যস্ত রেখেছি। প্রয়োজনে পরিশ্রমের মাত্রা আরো বাড়াবো। চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে স্বপ্ন লালন করি, তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নই আমার লক্ষ্য।

যে ১৭জন শিক্ষার্থী সকল বিষয়ে এ প্লাস পেয়েছে তারা হল-চুয়াডাঙ্গা কলেজ পাড়ার তমিজ উদ্দীন ও শামসুন নাহারের ছেলে শামসুজ্জোহা তরুণ, আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়ার আশাবুল হক ও শামীমা পারভীনের ছেলে সাব্বির আহমেদ আরিফ, চুয়াডাঙ্গা তালতলার ছমিরুল ইসলাম ও মমতাজ বেগমের ছেলে মাহফুজুল ইসলাম সজীব, আলোকদিয়ার আবু হাসান ও রেশমা খাতুনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস স্নিগ্ধা, বাস টার্মিনাল পাড়ার হাসানুজ্জামান নান্নু ও শামীমা নাসরিনের মেয়ে আল ইয়াসমিনুন হুসনা মিম, সিনেমা হল পাড়ার আনিস উদ্দীন ও জাকিয়া নাজনীনের ছেলে আসিফ আলমাস আকিব, আলমডাঙ্গা এক্সচেঞ্জ পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক ও শামীমা আক্তারের ছেলে মৃদুল মাহফুজ, চুয়াডাঙ্গা আলোকদিয়া বাজারের ওসমান গণি ও সুলতানা পারভীনের ছেলে শাহীদ ওমর তন্ময়, পুরাতন হাসপাতাল রোড মুক্তিপাড়ার মল্লিক সাঈদ মাহমুদ (চুয়াডাঙ্গা জেলার এ ডি সি জেনারেল) ও শারমিন আক্তারের ছেলে মল্লিক আসিফ রাগীব, কোর্টপাড়ার রুস্তম আলী ও সুরাইয়া খানমের ছেলে এস.এম. যুনায়িদ, শান্তিপাড়ার আস্-সাদিক ও পারভীন আক্তারের ছেলে সাফায়েত সাদিক, সিনেমাহল পাড়ার আব্দুল মালেক ও সেলিনা খাতুনের ছেলে এস,এম, মুনতাসির এজাজ সোয়েব, দৌলতদিয়াড় স্কুলপাড়ার আসলাম হোসেন ও রাফিয়া খানমের ছেলে তানজীদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার পাড়ার জহুরুল ইসলাম ও শাহানা খাতুনের ছেলে কামরুল ইসলাম, দৌলতদিয়াড়ের মোশারেফ হোসেন ও সেলিনা বানুর ছেলে সাব্বির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পাড়ার মরহুম মোতাক্ষার উল করিম ও নাছরিন আক্তারের ছেল সৈয়দ মেহেদী হাসান রাদ, বেলগাছির আমানুল্লাহ ও রাবেয়া আক্তারের ছেলে আহাদুন বিন রাহিদ।

যে ১৪ জন শিক্ষার্থী এক বিষয় বাদে সকল বিষয়ে এ প্লাস পেয়েছে তারা হল-চুয়াডাঙ্গা আলোকদিয়ার আব্দুল আওয়ালের মেয়ে আফরিন আক্তার মিম, আলমডাঙ্গা আসমানখালীর নিজামুল হায়দারের মেয়ে সামসুন নাহার ইভা, চুয়াডাঙ্গা সিনেমা হল পাড়ার রেজাউল করিমের মেয়ে ফাতেমা তাসনিম অন্তু, মেহেরপুর স্টেডিয়াম পাড়ার এ,কে,এম মহিউদ্দিনের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা দৌলদিয়াড় বি.এ.ডি.সি পাড়ার আতিকুল হকের ছেলে সালিম সাদমান সাকিব, চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার শরিফুল ইসলাম মামুনের মেয়ে শামীমা আক্তার মায়া, শান্তিপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে মুনতাসির বিন আমীর, ঈদ্গাহ পাড়ার রফিকুল ইসলাম লাড্ডুর ছেলে তৌফিকুল ইসলাম রাতিন, কানাপুকুর পাড়ার সাইফুর ইসলাম বেল্টুর ছেলে সালমান ফারসি সৌমিক, এতিমখানা পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে আবির হাসান সজীব, গোরস্থান পাড়ার মিন্টু হাসানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, এতিখানা পাড়ার মরহুম লিটন আহমেদের ছেলে শিলন আহমেদ, দামুড়হুদা পুরাতন বাজার পাড়ার মনজুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম আবির, চুয়াডাঙ্গা বুজরুক গড়গড়ী মাদ্রাসা পাড়ার শফিউদ্দীনের ছেলে হাসিন সাদাব আকাশ।

যারা এ প্লাস পেয়েছে তারা হল-চুয়াডাঙ্গা হসপিটাল রোডের ডা: আলাউদ্দিন আল আজাদের ছেলে ইমতিয়াজ রানা পিয়াল, দামুড়হুদা সুবলপুরের এনামুল হকের মেয়ে সুমাইয়া পারভেজ জুহি, চুয়াডাঙ্গা জ্বীনতলা মল্লিক পাড়ার শাহ আলম সনির ছেলে মাহমুদ আল জান্নাত আগুন, এতিমখানা পাড়ার আবু তালেবের ছেলে তারিক আবিদ তারিক, বেলগাছির সহিদুল ইসলামের মেয়ে অনন্যা ইসলাম, ডিঙ্গেদহ হায়দারপুরের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে আল মার্জিয়া ফেরদৌস কাঁকন, কেদারগঞ্জ সি.এন্ড.বি পাড়ার শাহীন আক্তারের ছেলে রিফাত আল আসিফ, শেখ পাড়ার মামুদ একরাম জোয়ার্দ্দারের ছেলে মাশরাফি জোয়ার্দ্দার অন্তর, মসজিদ পাড়ার সোহেল ইকবাল জোয়ার্দ্দারের মেয়ে আনিকা বুশরা ঐশী, মাখালডাঙ্গা মসজিদ পাড়ার আকমান আলীর ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন, চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজ পাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার ইসলাম তন্ময়, কলেজ পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান রতন, দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণ পাড়ার আশরাফুজ্জামানের মেয়ে আফসানা জামান সোমা, জাহাপুরের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে শিশির আহমেদ লিংকন, দামুড়হুদা দলিয়ারপুরের মুঞ্জুরুল করিমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সাজু, চুয়াডাঙ্গা দৌলৎদিয়াড়ের আব্দুল হালিমের ছেলে চঞ্চল মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা থানা কাউন্সিলপাড়ার রওশন আমীন রতনের মেয়ে সুন্নাতুল ফেরদৌস ঊর্মি, পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে জুবায়ের বিন ইসলাম, বেলগাছির জিনারুল ইসলামের মেয়ে স্মৃতি ইসলাম, কেদারগঞ্জ পাড়ার রমজান আলী চান্দুর ছেলে মেহেমুদ হাসান, কলাবাড়ির জালাল উদ্দিনের ছেলে সৌরভ হাসান, চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার আব্দুল হামিদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সনি, ওয়াপদা কলোনীর মাসুদুর রহমানের ছেলে রিয়াদ রহমান প্রান্ত, দর্শনা রনগোহাইলের মওলা বিশ্বাসের মেয়ে জান্নাতুল তাজীন মিথিলা, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার পাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে মঞ্জুরুল হোসেন মণি, রেলপাড়ার তোহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের মেয়ে তাসরিনা আক্তার সুমনা, আলুকদিয়া বাজারের আব্দুর রহমানের ছেলে সজিব হাসান সাজ, চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার শাহ জালালের মেয়ে জারিন সায়মা প্রিয়তি।