গালিব ও ফয়সালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ায় একদল যুবকের নগ্ন হামলা : প্রতিরোধের কিছু পালালেও কয়েকজন বেপরোয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার গালিব আজম আলা ও সিনেমাহলপাড়ার ফয়সাল আহম্মেদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানপাড়ার কদমতলায় ২০/২৫ জনের একদল হামলা চালিয়ে গালিবকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। ফয়সালের হাতে ধারালো অস্ত্রের একটি কোপ লেগেছে।

গালিব ও ফয়সালকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে গিয়ে ফয়সাল বলেছে, গালিবের বাড়িতে রাসেল, ইমরান, আজিমুল, ইজাজ ও বাধনসহ ২০/২৫ জনের একদল যুবক হামলা চালায়। বাড়িতে ইটপাটক্ষেল নিক্ষেপ করে। আংশিক ভাঙচুরও করে। এ খবর পেয়ে গালিবসহ আমি ছুটে গেলে হামলাকারীরা আমাদের ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। আমারা বাটাম নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করি। বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। বাটাম ভেঙে যাওয়ার কারণে হামলাকারীরা আমাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সটকে পড়ার সুযোগ পায়। সেখানে পড়ে যাওয়ার কারণে গালিবকে হামলাকারীরা উপর্যুপরি কোপানোর সুযোগ পায়। কুপিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।

কেন এ হামলা? এ বিষয়ে গালিব বা ফয়সাল মুখ খোলেনি। চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার ফেরদৌসওয়ারা সুন্নার ছেলে গালিব ছাত্রলীগ এবং ফয়সাল যুবলীগ কর্মী বলে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন। হামলার নেপথ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগের বিরোধ নাকি নারী ঘটিত ঘটনা তা স্পষ্ট করে জানা সম্ভব হয়নি। তবে সূত্র বলেছে, ছাত্রী হোস্টেলে বহিরাগতদের আসা যাওয়ার কারণে বাসার মালিক যুবলীগ নেতা ছাত্রীদের বাসা ছেড়ে দেয়ার জন্য জানান। এ নিয়ে রাসেল নামের একজন যুবলীগ নেতার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এরই প্রতিবাদ করে গালিব। এ ঘটনার জের ধরে তার ও তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছে।

গালিবের অবস্থা গুরুতর। এলোপাতাড়ি কোপে ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় গালিবের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। তবে রাতেই রক্ত দেয়ার সম্ভব হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রাখা ছিলো।

Leave a comment