দায়িত্বে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু এবং

 

বিপুলজনসংখ্যার এদেশে চিকিৎসাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা আছে-যা নতুন করে বলারঅপেক্ষা রাখে না। আর এটাও স্বাভাবিক যে, জনসংখ্যার তুলনায় যখন চিকিৎসকেরসংখ্যা অত্যন্ত কম হবে, তখন কিছু সমস্যা থাকবেই। কিন্তু যেখানে চিকিৎসাসেবানিশ্চিত করাই একটি চ্যালেঞ্জ, তারপর আবার যদি ভুল চিকিৎসা করা হয়; তবেঘটতে থাকে মৃত্যুসহ নানারকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা-যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুরপর স্বজনদের মেনে নেয়া কঠিন।তবু ভাঙচুরের ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এ ঘটনারপ্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসকরা যখন ৩০ মিনিট কর্মবিরতি পালন করেছেন-তখনআমরা বিস্মিত না হয়ে পারি না। কেননা রোগী ফেলে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন।একটি দেশে যারা চিকিৎসার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত, যাদের অবহেলা, উদাসীনতাকিংবা ভুলের কারণে মানুষের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে নিমিষেই, তাদের কোনোঅবস্থাতেই কর্মবিরতি যৌক্তিক হতে পারে না বলেই আমরা মনে করি। যেকোনোসমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে আইন আছে, পথ আছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যানিষ্পত্তি করার।

চিকিৎসকদেরভুলে যখন একজনের জীবন চলে যেতে পারে, তখন উচিত আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বনকরা।হাসপাতালপ্রাঙ্গণে যদি বারবার ভাঙচুর আর সহিংসতার ঘটনা ঘটে, আর রক্তমাখা হাত নিয়েএসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় রোগীকে-তবে সেই পরিস্থিতি আমাদের জন্যকোনো শুভ বার্তা নয়ই বরং এক ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের দিকেই ইঙ্গিত করে।