আব্দুর রহমান বয়াতির ইন্তেকাল
স্টাফ রিপোর্টার: প্রখ্যাত বাউল সঙ্গীতশিল্পী আব্দুর রহমান বয়াতি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। গতকাল সোমবার সকাল সোয়া আটটার দিকে রাজধানীর জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও অসংখ্য ভক্ত-শ্রোতা-শিষ্য রেখে গেছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আব্দুর রহমান বয়াতিকে। সেখানে তিনি আইসিইউ হেড অধ্যাপক শফিকুর রহমানের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অনেক দিন ধরে তিনি উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি সাত বছর ধরে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৯৩৯ সালে ঢাকার সূত্রাপুর থানার দয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহমান বয়াতি। একক গানের বহুসংখ্যক অ্যালবামের পাশাপাশি তিনটি মিশ্র অ্যালবামেও গেয়েছেন তিনি। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়রের আমন্ত্রণে একবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত জাঁকালো এক অনুষ্ঠানেও গান গেয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন বয়াতি। প্রায় চার যুগ ধরে মঞ্চ মাতিয়ে রাখা এ শিল্পী মরণের কথা কেন স্মরণ করো না, মা আমেনার কোলে ফুটল ফুল, দিন গেলে আর দিন পাবি না, ঘুড্ডি হয় তিনতলা, হাতের মাঝে ভাঙল হাঁড়ি, পিরিতে কইরাছে কাঙালি, একদিন চিঠি দিয়ে, আমার মাটির ঘরে, এত সুন্দর রঙমহল ঘর, আমি মরলে কেন, আমার এত সাধের রংমহল ঘর ইঁদুরে কেটে বিনাশ করতেছে, আমার মাটির ঘরে ইঁদুর ঢুকেছে, হাঁটের মাঝে ভাঙ্গল হাঁড়ি এমন অসংখ্য জনপ্রিয় চার শতাধিক গান রচনা করেন।
ট্রেনে ঢিল ছোড়া : প্রকৌশলী নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার এক
স্টাফ রিপোর্টার: সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ট্রেনে ছোড়া ঢিলে প্রকৌশলী প্রীতি দাশ নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইকবাল হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়। ইকবাল হোসেনের বাড়ি উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম হারুন উর রশিদ। পুলিশ জানায়, প্রীতি দাশ নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইকবাল হোসেনকে আটক করেন সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের এসআই শাহ আলম হালদার। পরে আটক ব্যক্তিকে রেল পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি শহীদউল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঢিল ছোড়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট রাতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ভাঙাব্রিজ এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ঢিলের আঘাতে প্রীতি দাশ নামে এক প্রকৌশলী নিহত হন।
বিহারে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩৫ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের বিহারে রাজ্যরানি এক্সপ্রেস নামে দ্রুতগামী একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তীর্থযাত্রীসহ কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিহারের ভামারা রেলস্টেশনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সকাল আটটার দিকে ধামারাঘাট স্টেশনে থার্ড লাইন দিয়ে দ্রুত বেগে ছুটে আসছিলো সহর্ষ-পটনা রাজ্যরাণী এক্সপ্রেস। স্টেশনে দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় থার্ড লাইন দিয়ে যাচ্ছিলো ট্রেনটি৷ এ সময় লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ৩৫ তীর্থযাত্রী নিহত হন। নিহতরা অধিকাংশই কানোয়ারি যারা শিবের উপাসক। স্টেশনের কিছুটা দূরেই কাত্যায়নী মন্দিরে বিশেষ পূজা উপলক্ষে ভিড় করেছিলো পুণ্যার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা এ সময় রাজারানিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে। প্রাণভয়ে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যান রেলকর্মীরা।
মুক্তি পাচ্ছেন হোসনি মোবারক!
মাথাভাঙ্গা মনিটর: বন্দিদশা থেকে শিগগির মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক! একটি দুর্নীতির মামলায় নির্দোষ ঘোষিত হওয়ার পর মোবারকের আইনজীবীদের উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে। মোবারকের আইনজীবী ফারিদ এল-দিব মনে করছেন বিচারাধীন অপর দুর্নীতি মামলাটিও দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে এবং তিনি মুক্তি লাভ করবেন। ফারিদ বলেন, আমরা আশা করছি চলতি সপ্তার শেষ দিকেই তিনি মুক্তি পাবেন। মোবারকের মুক্তির ব্যাপারে কিছু না বললেও আদালতের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে মামলাগুলোর সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে আরও দু সপ্তা কারাগারে কাটাতে হবে। গত বছর অবশ্য ব্রাদারহুড সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মোবারক ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। তখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারবিরোধীদের হত্যা বন্ধ করতে ব্যর্থ হন মোবারক ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আবেদন করায় এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া ফের চালু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক এ মামলা থেকেও অব্যাহতি পাবেন মোবারক। উল্লেখ্য, ৩০ বছর ধরে মিসর শাসন করা সাবেক এ বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হন। ৮৫ বছর বয়সী মোবারক বর্তমানে কায়রোর দক্ষিণ শহরতলীর তোরা কারাগারে বন্দি আছেন।