চুয়াডাঙ্গায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দৌরাত্ম্য : রোগীদের প্রাণহানির আশঙ্কা

 

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুল রিপোর্টের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে। অনেক প্রতিষ্ঠানে টেকনোলজিস্ট না থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের নাম।আলমডাঙ্গার পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের আনুরা খাতুন পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের জন্য ভর্তি হয় মদিনা ক্লিনিকে। অপারেশনের জন্য রক্তের প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসক। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডের হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে যান আনুরার অসুস্থ ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক লাল্টু জানান, আনুরা ও তার ছেলে রাজ্জাকের রক্তের গ্রুপএক। এ কথা জানিয়ে রাজ্জাকের শরীর থেকে ১ ব্যাগ রক্ত নেন লাল্টু।পরবর্তীতে ক্রস ম্যাচিং করার জন্য পাঠানো হয় নোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখান থেকে জানা যায়, আনুরা ও তার ছেলে রাজ্জাকের রক্তের গ্রুপ ভিন্ন। যার কারণে আটকে রাখা হয় রক্ত ও তার রিপোর্ট।

এদিকে অনেকেই অভিযোগ করে জানান, চুয়াডাঙ্গায় যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে তার বেশির ভাগেরই নেই কোনো টেকনোলজিস্ট। খাতা-কলমে টেকনোলজিস্টের নাম ব্যবহার করলেও বাস্তবে তাদের দেখা মেলে না। এ কারণে ভুল রিপোর্টে রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের দৃষ্টিগোচর কামনা করেছে সচেতন মহল। যাতে এধরনের প্যাথোলজি বা ডায়াগস্টিষ্টিক সেন্টার অপসারণের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।