মাথাভাঙ্গা অনলাইন : প্রতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর এলে বেদনা মোচড় দিয়ে ওঠে বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের বুকের ভেতরে। কারণ এ দিনটা ঢাকাই সিনেমার সবচাইতে জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ-এর মৃত্যুবার্ষিকী। আজ সালমান প্রয়াণের ১৭ বছর পূর্ণ হলো ।
১৯৯৬ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। মৃত্যুর ১৭ বছরেও তাকে ভোলেনি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা। তার স্মৃতি হয়ত সময়ের ধূসর চাদরে ঢেকে গেছে। তবুও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের রোমান্টিক যুবরাজ আজও বেঁচে আছেন দর্শক মনোজগতে। জেগে আছেন ভক্তদের স্মৃতিচারণায়।
এমন কী ছিল সালমান শাহর অভিনয়কলায়? কী এমন বৈচিত্র্য ও আকর্ষণ ছিল তাঁর দেহসজ্জায়, যার ফলে দর্শক হৃদয়ে এমন আসন তৈরি হয়েছিল?
তার অভিনীত ২৬টি চলচ্চিত্রের মধ্যেই রয়েছে এর জবাব। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬-মাত্র চার বছর ছিল তাঁর অভিনয়জীবন। এই স্বল্প সময়ে সালমান শাহর প্রাপ্তি ছিল আকাশচুম্বী।
এত সাফল্যের পরও তাঁর জীবন কেমন ছিল, যা সালমান দীর্ঘায়িত করতে চাননি। নিজ যুক্তিতে স্বমুক্তি খুঁজেছেন? আনন্দ চুরি হওয়া জীবন থেকে বিদায় নিতে আত্মধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছেন, যা আজও সবার কাছে অজানা সংবাদ হয়েই রইল।
সালমান শাহ (শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ সালে। সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ দর্শকের সামনে আসেন।
চার বছরের অভিনয়জীবনে তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, দেনমোহর, তোমাকে চাই, সত্যের মৃত্যু নেই, মায়ের অধিকার, আনন্দ অশ্রু প্রভৃতি।
সালমান শাহ অভিনীত সর্বাধিক চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন শিবলি সাদিক। মৌসুমীর সঙ্গে ছিল সালমান শাহর প্রথম জুটি বাঁধা। চরম সাফল্যের সম্ভাবনা থাকলেও এই জুটির চলচ্চিত্র মাত্র চারটি। শাবনূরের সঙ্গে সালমানের চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১৪।
এতো অল্প সময়ে এমন দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেও সালমান কেন নিজেকে হত্যার পথ বেছে নিলেন? কেন অবেলায়, অভিমানে দর্শকদের ছেড়ে চলে গেলেন? এর জবাব আজো সবার অজানাই রয়ে গেছে