স্টাফ রিপোর্টার: টিআর ও কাবিখাপ্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অব্যাহত লুটপাট ও সীমাহীনঅনিয়ম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।একই সাথে এসব প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু মাটি ভরাট কাজ নয়, রাস্তাঘাট নির্মাণ, পাকাকরণসহ অন্যান্য স্থায়ী কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিতেও পরামর্শদিয়েছে কমিটি। গতকাল রোববার সংসদ সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্যদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তালুকদারআবদুল খালেক, বি.এম. মোজাম্মেল হক, মমতাজ বেগম, শফিকুল ইসলাম শিমুল, এস এমজগলুল হায়দার, সৈয়দ আবু হোসেন এবং হ্যাপী বড়াল অংশ নেন। দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মেজবাহ-উল-আলমসহ সংশ্লিষ্টকর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য তালুকদার আবদুলখালেক জানান, টিআর-কাবিখার বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা পাকাকরণসহ অন্যান্য স্থায়ীকাজ সম্পন্ন করা যায় কিনা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।দেশের অনেক রাস্তাঘাটই এখনও অবহেলিত। তাই টিআর-কাবিখার বরাদ্দকৃত চাল-গমদিয়ে এসব রাস্তার উন্নয়ন করা যেতে পারে। তাছাড়া এগুলোর বরাদ্দ নিয়েও অনেকসময় কথা উঠে তাই টিআর-কাবিখার বরাদ্দ কিভাবে হচ্ছে কারা পাচ্ছেন তা নিয়েওআলোচনা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলেওজানান তিনি। কমিটি সূত্র জানায়, টিআর-কাবিখার বরাদ্দ স্বচ্ছভাবে হচ্ছে কিনা মন্ত্রণালয়ের কাছে তা জানতে চেয়েছেন কমিটির সদস্যরা। তারা এসব প্রকল্পবাস্তবায়নসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতাও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেন। বৈঠকেজানানো হয়, মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থা সমূহেঅনুমোদিত পদের সংখ্যা ২ হাজার ১১৯টি। যার মধ্যে ২০৩টি পদ শূন্য রয়েছে।কমিটির পক্ষ থেকে ওই সব পদ পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করাহয়েছে।