দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর ডাক্তারপাড়ারআলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে জয়রামপুর দোহারপাড়ার দোহার নৈশপ্রহরী মন্টু খুনসহ একের পর এক ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত মানুষকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা মামলার আসামি। পুলিশ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গ্রেফতারের সময় আলমগীরের দেহ তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি একটিশাটারগান, বন্দুকের ৩টি তাজা গুলি ও মন্টুকে জবাই করা সেই হেঁসোটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই গ্রামের তথা জয়রামপুর মল্লিকপাড়ার রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ গতকাল শুক্রবার গ্রেফতারকৃত দুজনকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উভয়কেই জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
পুলিশ বলেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামে রাতের অন্ধকারে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে। গত ৭ মে রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে ও পেটে কুপিয়ে ভুড়ি বের করে খুন করে জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার (দোহারপাড়া) মন্টুকে। এর আগে একই গ্রামের বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার সাথে জড়িত ৩ জনকে ৭ মে রাতেই গ্রেফতার করা হয়। এদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এএসআই শামসুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আলমগীরকে গ্রেফতার করেন। উদ্ধার করেন আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র। পুলিশ এসব তথ্য দিয়ে বলেছে, গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে তাদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উভয়কেই জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান জানান, আটক দুজনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আগামী রোববার তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এর আগে পুলিশ গ্রেফতার করে জয়রামপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে জাহিদ, একই গ্রামের ডাক্তারপাড়ার লালচাঁদ মণ্ডলের ছেলে বাবু ওরফে রহমান এবং একই গ্রামের বারুইপাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আসান ওরফে তোতা। এদের নিকট থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও কারো নিকট থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যেমন আদায় করতে পারেনি, তেমনই জয়রামপুরে একের পর এক হামলার মূল হোতা এখনও ধরা পড়েছে কি-না তা নিয়ে গ্রামবাসী গতকাল পর্যন্ত ছিলো সন্ধিহান।