প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন

 

সার্বজনীন শিক্ষা সম্প্রসারণে প্রতিটি সরকারই প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। এ সংক্রান্ত একটিআলাদা মন্ত্রণালয়ও গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া সংবিধানের ১৭ ধারা অনুযায়ীপ্রাথমিক শিক্ষার দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

সরকারি বা বেসরকারি যাইহোক, প্রাইমারি স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ থাকবে কেন?আসলেএক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো বাজেট। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবেইতোমধ্যে উপবৃত্তির টাকা দেয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ীযেসব স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ আছে তার সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করতে হলেলাগবে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। একে তো চাহিদা অনুযায়ী আমরা কাজ করতেপারছি না,উপরন্তু নতুন নতুন ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে এ সমস্যা আরওপ্রকট আকার ধারণ করছে। তবে এ খাতে যে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয় তা বন্ধকরতে পারলেও অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। মূলত প্রাইমারি স্কুল ভবনসংস্কার বা পুনর্নির্মাণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দুটিমন্ত্রণালয় জড়িত। এ দুটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকাটা একান্ত জরুরি।স্কুল ভবন সংস্কার ও অন্যান্য অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়নে ক্রমান্বয়ে বাজেটবাড়াতে হবে। স্কুলগুলো স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নানাভাবে নিজেদের আয় বৃদ্ধিরওচেষ্টা করতে পারে। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকে উত্সাহিত করা যায়।

ধনাঢ্যবান ও দানশীল মানুষের পাশাপাশি যারা সে স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ওবর্তমানে কর্মজীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত,তারাও স্কুলভবন সংস্কার বাপুনর্নির্মাণে এগিয়ে আসতে পারেন। অবশ্য সে জন্য সরকারকেও আহ্বান জানাতে হবে।