গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ঝিনেরপুলপাড়ায় ঘাতক স্বামী মাসুদ রানা ইঞ্জিল স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। গতকাল সোমবার মেহেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১৬৪ ধারায় ইঞ্জিলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম।
ওসি জানান, গত রোববার গ্রেফতারের পর থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রীকে খুনের দায় স্বীকার করে খুনের বর্ণনা দেয়। গতকাল তাকে মেহেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ বিচারকের কাছে সে একই রকম স্বীকারোক্তি প্রদান করে। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে কীভাবে হত্যা করেছে তা বিস্তারিত বর্ণনা করে। বিজ্ঞ বিচারক ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একই সাথে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালতের আদেশে তাকে গতকালই মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শনিবার দুপুরে তিন বছর বয়সী শিশুকন্যা হোসনেয়ারার সামনে স্ত্রী সেলিনা খাতুনকে জবাই করে হত্যা করে মাসুদ রানা ওরফে ইঞ্জিল। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে মেয়ে হোসনেয়ারাকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শনিবার বিকেলে সেলিনার মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে ইঞ্জিলকে একমাত্র আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রোববার দুপুরে হিন্দা গ্রাম থেকে ইঞ্জিলকে গ্রেফতার করে গাংনী থানা পুলিশ। রোববার বিকেলে নিহতের শিশুকন্যা হোসনেয়ারা ও মেঘনা হত্যকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।