মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি খাঁপাড়ায় যুবক-যুবতি একটি ঘরে দু জনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে ওই রাতেই করা হয় বিয়ের ব্যবস্থা। কিন্তু বাঁধ সাথে ছেলে পক্ষ। গ্রাম্য সালিসে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করলেও ২ মাস পর ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় গোপন সালিশে। টাকা নেয়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য মাতবরদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি খাঁপাড়ার মৃত মুকুলের মেয়ে মদিনা (১৬) গত ২৪ মার্চ রাত ৯টার দিকে জেহালা বাজারের সহিদের ছেলে সাখাওয়াতকে (২৫)পূর্ব পরিচয়ের জের ধরে মোবাইলফোনে অংক করে দেবার জন্য ডাকে। বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে মদিনার নিজ ঘরের মধ্যে ঢোকে সাখাওয়াত। পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা মদিনার পরিবারের লোকজন এসে দুজনকে মদিনার ঘর থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। সাখাওয়াতের হাত-পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। বিয়ের দাবি তুলে কাজি ডেকে বিয়ের আয়োজন করে। এ সময় সাখাওয়াতের পরিবার রাজি না হলে বিয়ে ভেস্তে যায় বিয়ে। দাবি করা হয় ৩ লাখ টাকা। রাত ১টার দিকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আপস-মীমাংসা হয়। এ ঘটনায় গত পরশু সকালে জরুরি বৈঠকে সাখাওয়াতের পরিবার টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করলে ৯০ হাজার টাকায় আপস হয়। গতকাল নগদ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। গড়গড়ি গ্রামের মাতবরদের বিচার অমান্য করে নতুন করে সালিসে টাকা নেয়ায় গ্রামের মণ্ডল মাতবরদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় এক সাংবাদিককে নগদ ২ হাজার ৫শ টাকা উৎকোচ দিয়েছে বলে সূত্র জানায়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।