বেগমপুর প্রতিনিধি: গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য লালিত অধিকাংশ খেলাধূলা আজ হারাতে বসেছে। আধুনিক সভ্যতার যুগে এ সব খেলার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না কেউ। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নবাসী বসে নেই। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাধূলা বাঁচিয়ে রাখতে যেনো চেষ্টার কমতি নেই তাদের। আয়োজকদের তেল মাখানো বাঁশে উঠতে পড়ে যায় হাসির হুল্লোড়। বাঁদরের বাঁশে ওঠা অংকের হিসাব করে তেল মাখানো বাঁশে ওঠার চেষ্টা করে সবাই হয়েছে ব্যর্থ।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ধরে রাখতে এবং বর্তমান প্রজন্মকে অতীত স্মরণ ও আগ্রহী করে তুলতে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুরের হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপি আয়োজন করা হয় আন্তঃইউনিয়ন গ্রামবাংলার খেলাধূলার। এসব খেলার মধ্যে ছিলো কানামাছি, দাড়িয়াবাধা, হা-ডু-ডু, মোরগ লড়াই, কাবাডি ও তৈলাক্ত বাঁশে ওঠা। এসব খেলায় অংশগ্রহণ করে ইউনিয়নের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বেগমপুর দাখিল মাদরাসা, বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোটালী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালায় ও হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। খেলা শেষে বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল আমিন। প্রধান অতিথি বলেন, লেখাপড়া আর খেলাধুলার সমন্বয়ে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। কারণ নিয়মিত খেলাধূলা করলে শরীর ও মন দুটিই ভালো থাকে। অতীতকে স্মরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলার মধ্যে রয়েছে আমাদের গৌরব ও ইতিহাস। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক মাসুম, বেগমপুর-যদুপুর বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম সরোয়ার লিটন ওহিজলগাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসএসআই শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকগণ যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন স্বপন, জাফেরুল্লাহ, ওয়ালিউর রহমান, মাহফুজুল হকসহ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও সহকারী শিক্ষক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন।