সুপ্রর উদ্যোগে জাতীয় বাজেট ২০১৪-১৫ প্রাক-বাজেট আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল ২৩ এপ্রিল বুধবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সেন্টারে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে প্রাক-বাজেট আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্র চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাড. মো. বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়ডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রস্মারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হরিবুলা সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোক্তার হোসেন সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম ইস্রাফিল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুপ্র-জেলা কমিটির সম্পাদক ও রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম। কর ন্যায্যতার মাধ্যমে দরিদ্রবান্ধব অংশগ্রহনমূলক জেলা বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চাইশীর্ষক আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন জেলা কমিটির সহসভাপতি শাহীন সুলতানা মিলি। বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন দাবী ও সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা সভাপতি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সম্পাদক আলাউদ্দীন ওমর, জাতীয় গনফ্রন্ট জেলা আহ্বায়ক লিটু বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জেলা লোকমোর্চা সহসভাপতি রাশেদ-উল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, পাইন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহান, সুপ্র জেলা কমিটির সদস্য ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী জহির রায়হান, সাবেক শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস হোসেন, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, অ্যাড. নওশের আলী, শাহেদ জামাল প্রমুখ। আলোচনা উপস্থাপন করেন সুপ্র-চুয়াডাঙ্গা ডিস্ট্রিক্ট ক্যাম্পেইন ফেসিলিটেটর দারুল ইসলাম। বাজেট আলোচনায় জাতীয় ও স্থানীয় প্রেক্ষিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিভিন্ন দাবী উঠে আসে। আলোচনাসভা থেকে জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য দাবিমুহ একত্রীকরণ করে স্মারকলিপি আকারে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করা হয়। প্রধান অতিথি বলেন- গত বাজেটে দাতা নির্ভরতা এবং বৈদেশিক ঋণ নেয়া অনেকাংশে কমেছে সুষ্ঠ কর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৈদেশিক নির্ভরতা একেবারেই শুণ্যের কোটায় নিয়ে আসা সম্ভব। পরোক্ষ কর গরীব মানুষের বোঝা বাড়িয়ে দেয়। তাই আমার আছে কুড়ে ঘর আমি দেব অল্প কর ১০ টাকা থেকে শুরু করে যার জন্য যেটুকু প্রযোজ্য হয় সেটুকুই কর ধার্য করতে হবে। প্রত্যেকের কর পরিশোধের ফাইল এবং টিন নম্বর থাকতে হবে। এভাবেই আমরা পরোক্ষ করের আওতা কমিয়ে প্রত্যক্ষ করের আওতা বৃদ্ধি করতে পারি।

Leave a comment