আলমডাঙ্গা মধুপুরে জোর করে ভুট্টাক্ষেতে ভুট্টা কেটে নেয়ার সময় দুপক্ষের উত্তেজনা
মোমিনপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের নিভৃত পল্লি মধুপুর গ্রামে এক একর ৫৮ শতক বা পৌনে ৬বিঘা আবাদের জমি দখল নিয়ে দু পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক পক্ষের লোকজন গতকাল মঙ্গলবার সকালে জোর করে দখল নিয়ে ভুট্টা কাটতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দিতে গেলে উত্তেজনার দানা বেধে ওঠে। ভয়াবহ সংঘর্ষের আশঙ্কার খবর পেয়ে ঘোলদাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ভুট্টা কাটতে নিষেধ করে এবং মাঠ থেকে উভয় পক্ষকে চলে যেতে বলে। মধুপুর গ্রামের ঠাণ্ডু মণ্ডল নিজেকে প্রকৃত জমির মালিক বললেও একই গ্রামের প্রভাবশালী আয়ুব আলী জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জোর করে জমি দখল করতে চাইছে বলে এলাকায় ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, মধুপুর গ্রামের উরোগাড়ির মাঠে পৌনে ৬ বিঘা জমি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন গ্রামের মৃত হোসেন মণ্ডলের ছেলে ঠাণ্ডু মণ্ডল এবং একই গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে আয়ুব আলীর সাথে বিরোধ চলে আসছে। ঠাণ্ডু মণ্ডলের অভিযোগ এ পৌনে ৬ বিঘা জমির প্রকৃত মালিক আমি নিজে। অপরদিকে আয়ুব আলী ও নিজেকে এ জমির মালিক হিসেবে দাবি করেন। ঠান্ডু মন্ডলের অভিযোগ ভুয়া জমির কাগজ পত্র তৈরী করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোর করে আয়ুব আলী দীর্ঘদিন ধরে আমার জমি দখল নিয়ে আবাদ করে যাচ্ছেন। গতকাল সকালে আয়ুব আলী গ্রামের উরোগাড়ির মাঠে লোকজন নিয়ে ভুট্টাক্ষেতে ভুট্টা কাটতে যান। ভুট্টা কাটার খবর শুনে ঠাণ্ডু মণ্ডুল মাঠের দিকে ছুটে আসে। শুরু হয় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের আশঙ্কার সংবাদ শুনে ঘোলদাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি আহাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এসময় পুলিশ উভয় পক্ষকে মাঠ থেকে চলে যেতে বলে। টুআইসি আহাদ জানান, যেহেতু জমির মালিক দু ব্যক্তিই দাবি করছেন। এ বিষয়ে ঠাণ্ডু মণ্ডল এবং আয়ুব আলীকে জমির কাগজপত্র নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট দেখাতে বলা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম উভয় পক্ষের জমির কাগজপত্র দেখার পর যার কাগজপত্র সঠিক থাকবে সেই ব্যক্তিই এ জমির মালিক হবে।
ঠাণ্ডু মণ্ডল গতকাল দুপুরে অভিযোগ করে জানান, ১৯৮১ সালে গ্রামের আমদ আলীর কাছ থেকে পৌনে ৬ বিঘা জমি কিনে রেজিস্ট্রি করা হয় যা গ্রামের লোকজন জানে। ১৯৯১ সালের পর থেকে আয়ুব আলী ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোর করে ভয় দেখিয়ে আমার জমি দখল করে আবাদ করে যাচ্ছেন।