স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন দেয়ার লোক না পেয়ে গতকাল সোমবারশহিদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার পর রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতালের কর্মচারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এ সময় রোগীর স্বজনদের কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।মৃত শহিদুলের বাড়ি নগরের চণ্ডিপুর এলাকায়। তিনি রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী ছিলেন।
শহিদুলেরছেলে নাহিদুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৩টা বা পৌঁনে ৪টার দিকে শহিদুলঅসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তারা। সে সময়তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না। অক্সিজেন দিতে বললে সেখানে কর্তব্যরতচিকিত্সক বলেন, অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এরপর তাদের ২৬ নম্বরওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর নার্স বলেন, অক্সিজেন দিতেহবে, স্যারকে (কর্তব্যরত চিকিত্সক) ডাক দেন। কিন্তু ওই চিকিত্সকের কক্ষেরদরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিলো। অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলা হয়নি। এসব করতেপ্রায় আধা ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যায়। তিনি (নাহিদুল) ফিরে এসে দেখেন তার বাবাআর নেই।নাহিদুলের চাচাতো ভাই রাজু বলেন, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ কি-না, সেটা দেখতে লাশ নিয়ে আবার জরুরি বিভাগে যান তারা। সেখানে গিয়ে এককর্মচারীকে মেশিন ছাড়তে বলেন তারা। মেশিন ছাড়ার সাথে সাথে দেখা যায়, নলদিয়ে অক্সিজেন বের হচ্ছে। এটা দেখে আর সহ্য করতে না পেরে শাদা পোশাক পরা ওইকর্মচারীকে ঘুষি মারেন তিনি (রাজু)। এরপর কর্মচারীরা তাদের ঘিরে ফেলেন।পুলিশ আসার কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।রাজু বলেন, তখন অক্সিজেন দিতে পারলে এ দুর্ঘটনা আর ঘটতো না।