১১ দফা দাবিতে দর্শনা কেরুজ চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সংস্থা ও ফেডারেশনের স্মারকলিপি পেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ১৫টি সুগার মিলে (২০১৩-২০১৪) আখ মাড়াই মরসুমে সরবরাহকৃত আখের বকেয়া ২শ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে পাওনা রয়েছে। দীর্ঘ দেড় বছর মেয়াদী ফসল আখ, সেই আখ বিক্রি করে টাকা পরিশোধ ও আখের মূল্যবৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন দর্শনা কেরুজ চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সংস্থা ও ফেডারেশন। ‘আখচাষি বাঁচাও মিল বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইনের কাছে পেশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আখচাষি উপদেষ্টা দর্শনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, আকমত আলী, দর্শনা কেরুজ চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সংস্থা ও ফেডারেশন সভাপতি আব্দুল হান্নান, সহসম্পাদক আব্দুল বারী, সহসভাপতি ওমর আলী, দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদস্য আমজাদ হোসেন, ওহিদুজ্জামান, লাল মহাম্মদ, আব্দুল কাদের, জহুরুল হক, আশরাফ আলী, আখচাষি আজিবার রহমান, শাহাজাহান আলী প্রমুখ।

দাবিসমূহ হলো- আখের মূল্য আগামী মরসুমে মণপ্রতি ১৩০ টাকার নির্ধারণ করতে হবে,  ১ জানুয়ারি থেকে আখের বর্ধিত মূল্য ০.৭৫ টাকার পরিবর্তে ৫ টাকা করতে হবে এবং প্রেমাড ও মোলাসেস আখচাষিদের আখের বিপরীতে হারাহারি হারে ন্যায্যমূল্য প্রদান করতে হবে, ওজনে কারচুপি রোধকল্পে অতিসত্বর ডিজিটাল ওজনযন্ত্র চালু করতে হবে, মিলে সবরাহকৃত আখের বিপরীতের কেজি প্রতি ৫ টাকা বোনাস হিসেবে কম দামে চিনি সারাবছর আখচাষিদের প্রদান করতে হবে, বাংলাদেশে উৎপাদিত মানসম্মত পতেঙ্গা টিএসপি সারসহ সকল প্রকার সার ও কীটনাশক সঠিক মাপ নিশ্চিত করতে পাশবইয়ে মূল্য উল্লেখ করে আখচাষি ভাইদের নিকট প্রদান করা, উচ্চ ফলনশীল টেকসই আখের বীজ (প্রয়োজনে বিদেশ থেকে আমদামি করে) আখচাষিদের নিকট সরবরাহ করতে হবে ও উন্নতজাতের সুগারবিট চাষের ব্যবস্থা করতে হবে। আখের যথাযথ চিনি আহরণের লক্ষ্যে প্রতিটি চিনিকলকে আধুনিকায়ন করতে হবে, সারাবছর প্রতিটি চিনিকল চালু রেখার স্বার্থে (লোকসান কমানোর প্রয়োজনে) বাই প্রডাক্ট হিসেবে ডিস্টিলারিজ, হার্ডবোর্ড তৈরি প্লান স্থাপন করা, চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে আখচাষি সন্তানদের বিভিন্ন পদে ৫০ ভাগ চাকরি প্রথা চালু নিশ্চিত করতে হবে, আখচাষি ফেডারেশন অফিস রুমের ব্যবস্থা চিনিশিল্প ভবনে প্রদান করতে হবে এবং প্রতিটি মিলে আখচাষি সমিতি/আখচাষি কল্যাণ সমিতির অফিসঘর প্রদান করতে হবে, আখচাষি সমিতি/আখচাষি কল্যাণ সমিতি ও বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের তহবিল গঠনের নিমিত্তে ডাব্লুয়ারের খুচরা পয়সা ও ডাব্লুয়ারের প্রতিমণের বিপরীতে ০.০৫ টাকা কর্তন করে আখচাষি সমিতি/আখচাষি কল্যাণ সমিতি ও আখচাষি ফেডারেশনের তহবিল গঠনে সহযোগিতা করতে হবে, চিনিকলের ক্রয়-বিক্রয় কমিটিতে সদর দপ্তরে ও চিনিকলে আখচাষি প্রতিনিধি এবং রোডসেচ ও শিক্ষাসেস কমিটিতে আখচাষি প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করতে হবে, সদর দপ্তরসহ সর্বক্ষেত্রে মাথাভারী প্রশাসন কাটছাট করে চিনিকলসমূহকে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Leave a comment