দামুড়হুদার চিৎলা হাসপাতালের ৪টি টিউবওয়েলই দীর্ঘদিন ধরে অকেজো : ভ্যাপসা গরমে রোগীদের নাভিশ্বাস
বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪টি টিউবওয়েলই প্রায় ১৫ দিন যাবত অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রোগী সাধারণ। পানির জন্য রাস্তা পেরিয়ে বেশখানেকটা দূর থেকে আনতে হচ্ছে খাবার পানি। ফলে একদিকে যেমন পানযোগ্য পানির অভাবে পুরো হাসপাতাল এলাকা জুড়ে চলছে হাহাকার অপরদিকে ভ্যাপসা গরমে রোগীদের ওষ্টাগত অবস্থা। সুপেয় পানির দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করা হলেও এখনও পর্যন্ত হয়নি এর সূরাহা।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথা চিৎলা হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রোগীসাধারণের সুপেয় পানির জন্য ৪টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। হাসপাতাল বাউনন্ডারির মধ্যে অবস্থিত টিউবওয়েলগুলো বছরের বেশিরভাগ সময়ই অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। গত ১৫ দিন যাবত ওই ৪টি টিউবওয়েল আবারও অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রোগীরা অভিযোগ করে বলেছেন বারবার তাগাদা দেয়া স্বত্বেও কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি কোনো মেরামতের ব্যবস্থা নেননি। ফলে আমাদের অনেক কষ্ট করে বাইরে থেকে পানি আনতে হচ্ছে। কয়েকদিন যাবত হাসপাতালে ভর্তি থাকা বেশ কয়েকজন রোগীদের মধ্যে পাটাচোরার আলম, কালিয়াবকরির একরামুল, লোকনাথপুরের তরিকুল, ছাতিয়ানতলার মর্জিনা ও দেউলী গ্রামের সহিতন নেছা অভিন্ন সুরে অভিযোগ করে বলেন, এ হাসপাতালে কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। ৪টি টিউবওয়েল অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা মেরামতের ব্যবস্থা নেই, খাবারের মানও খুব নিম্নমানের, সন্ধ্যা নামলেই পুরো হাসপাতালজুড়ে যেন একটা ভূতুড়ে পরিবেশ। হাসপাতালে সামনে অবস্থিত দোকানিরা বলেন, গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের পিয়ন হাসিবুল উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তার জন্য পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে পানি আনতে গিয়ে পড়েন তোপের মুখে। এ বিষয়ে ওই দোকানি বলেন, রাত নেই দিন নেই ভিনপুরুষরা বাড়ির মধ্যে ঢুকে পানি নিচ্ছে। বাড়ির মহিলারা কে কখন কি অবস্থায় থাকে বলা যায়। তাদের জালাতনে অনেকা অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল পানি নিতে নিষেধ করেছিলাম। ভুক্তভোগী রোগীসাধারণ পানি না পেয়ে বেলা ১২টার দিকে ঘেরাও করেন উপজেলা স্বাস্য ও প. প. কর্মকর্তার অফিস। রোগীদের রোষানল থেকে বাঁচতে শেষমেষ তিনি অচিরেই টিউবওয়েলগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নিবেন বলে কথা দেন।