ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন

খালেদা শয়তানের বংশধর, তারেক শয়তানের বাছুর

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘শয়তানের বংশধর’ এবং তারেক রহমানকে ‘শয়তানের বাছুর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা শয়তানের বংশধর। তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এদেশে শান্তি আসবে না। এখন তাকে সাংগঠনিকভাবে শায়েস্তা করতে হবে।’ গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় মায়া এসব কথা বলেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘শয়তানের বাছুর তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় শয়তানের সাথে ক্যান্টনমেন্টে ছিলো। সে তো মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। এই বাছুর কোনো পাগল না। বাছুর যা বলেছে তা হলো সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা (বিএনপি) বুঝতে পেরেছে আন্দোলন করে শেখ হাসিনার কিছু করা যাবে না। তাই তারা মিথ্যাচার শুরু করেছে। এ মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই শুরু করতে হবে।’ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এমন কোনো শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে। পাঁচ বছরের আগে ক্ষমতা থেকে নামবো না। আমাদের ইতিহাস ধৈর্যের ইতিহাস। মহানগরের ইতিহাস কলঙ্কমুক্ত ইতিহাস। তারেক লন্ডনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে জাতির ওপর যে কলঙ্ক লাগিয়েছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে এ বাছুরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরও তথ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চুপ কেন? ভারতের সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সংবাদ তাদের কোনো পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় না। অথচ তারেকের মতো একজন ফেরারি আসামির খবর আমাদের দেশের পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। তার সংবাদ প্রকাশে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এই বাকসন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।’

পয়লা বৈশাখ উদযাপন, ১৫ এপ্রিল কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানের পালনের উদ্দেশ্যে ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক প্রমুখ।

Leave a comment