চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত কৃষি মেলার উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক

 

অধিক উৎপাদনে কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে দ্বিতীয় শস্য বহুমুখিকরণ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপি কৃষি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায়  সদর উপজেলা চত্বরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে সকালে উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে ৱ্যালি বের হয়। ৱ্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় তিনি বলেন, কৃষকেরা দেশের চালিকা শক্তি। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষকেরা দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। এখন আর খাদ্যের জন্য দেশকে বিদেশের কাছে ধর্না দিতে হয় না। কৃষকেরা যাতে ভেজাল বীজ সারে প্রতারিত না হয় সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি রাখতে হবে তেমনি কৃষকদের সচেতন হতে হবে। এ ধরনের কৃষি মেলার মাধ্যমে অধিক উৎপাদনে কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করাতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দেশে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এজন্য পতিত জমি কৃষি কাজের আওতায় আনার জন্য কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক হরিবুলা সরকার, ঢাকা এসসিভিপি খামারবাড়ির প্রকল্প পরিচালক হামিদুর রহমান, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার খন্দকার মনুয়ার হোসেন, বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সির ফিলাড অফিসার শ্যামল কুমার বিশ্বাস।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১ হাজার ১৭৫ জন কৃষকের মাঝে নগদ টাকা সার বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৫ জন নিরিকা ধানচাষিদের জন্য ৬শ টাকা, ১০ কেজি ধানবীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ড্যাপ ও এমওপি সার দেয়া হয়। ১ হাজার জন উফশি ধানচাষি ৩শ টাকা, ৫ কেজি ধানবীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ড্যাপ ও এমওপি সার দেয়া হয়।