দামুড়হুদার রঘুনাথপুরে শাহিন হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে অসহায় পিতার সংবাদ সম্মেলন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে নির্দোষ ছেলেকে অব্যাহতির দাবি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার রঘুনাথপুরে গাঁজা বিকির প্রতিবাদে যুবক শাহিন হত্যা মামলার ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দোকানি নতুন বাস্তপুরের আরিফকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওই হত্যা মামলার ৩ নং আসামি করায় আরিফের পিতা আনোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ এপ্রিল রোজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর বাজারে গাঁজা বিকিকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের আ. রাজ্জাক ও আলম হোসেনের দু পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে আ. রাজ্জাকের মেজ ছেলে শাহিন (২৪) নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহতের পিতা আ. রাজ্জাক বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যামামলায় বাজারের সাইকেল পার্টসব্যবসায়ী আমার নিরীহ ছেলে আরিফকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৩ নং আসামি করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

তিনি আরও বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় কারা কারা জড়িত এবং কারা ওই হত্যা কাণ্ডটি ঘটিয়েছে এলাকার মানুষ তা সচক্ষে দেখেছে। এছাড়া আমার ছেলে একজন নিরীহ প্রকৃতির এবং সৎব্যবসায়ী হিসেবে এলাকার মানুষ চেনে ও জানে। ঘটনার পরদিন আমি লোক মারফত জানতে পারি নিহত শাহিনের পিতা আ. রাজ্জাক ও বড় ভাই রাসেল বলেছে তাদের বাড়ি সংলগ্ন আধা কাঠা জমির ওপর আমার যে দোকানঘরটি আছে ওই দোকানঘর যদি আমাদের নামে লিখে দেয় তাহলে আমরা মামলা থেকে তার ছেলের নাম প্রত্যাহার করে নেবো। আমি ওই দোকানঘর বিগত প্রায় ৫ বছর আগে ওই গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আসাদুজ্জামান লিটনের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছিলাম।

অসহায় আনোয়ার উপস্থিত সাংবাদিকদের আরও জানান, ওই দোকানঘরটি কৌশলে হাতিয়ে নিতে তারা ষড়যন্ত্র করে আমার নিরিহ ছেলেকে ওই হত্যা মামলায় আসামি করেছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তার  নিরীহ ছেলেকে অহেতুক হয়রানি না করে ওই মামলা থেকে আরিফকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আরিফের পিতা আনোয়ার হোসেন।

Leave a comment