সড়কে গাছ ফেলে মোটরসাইকেল নগদ টাকাসহ মোবাইলফোন ছিনতাই

আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া-পাচকমলাপুর সড়কে আবারও ছিনতাইকারীদের তাণ্ডব


সদরুল নিপুল/অনিক সাইফুল: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া-পাঁচকমলাপুর সড়কে আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন আগে একই জায়গা থেকে একটি মোটরসাইকেল, নগদ টাকাসহ মোবাইলফোন ছিনতাইয়ের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতপরশু শনিবার রাতে মুখ বাধা একদল ছিনতাইকারী সড়কের ওপর গাছ ফেলে এক ব্যক্তির নিকট থেকে একটি মোটরসাইকেল নগদ টাকাসহ দুটি মোবাইলফোন কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। পাঁচকমলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে দফায় দফায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় এলাকার মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বটিয়াপাড়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে বিশিষ্ট ভুষিমাল ব্যবসায়ী আহসান হাবীব (৪০) গতপরশু শনিবার রাতে লেবার সরদার কালুকে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পাঁচকমলাপুর গ্রামে শাহসুফি তৈয়ব শাহ’র মাজার শরিফে ২৪তম বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠান দেখতে যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজের মোটরসাইকেলযোগে লেবার কালুকে সাথে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বটিয়াপাড়া-পাঁচকমলাপুর সড়কের মাঝামাঝি জুয়ানেগালার মাঠ নামক স্থানে পৌঁছুলে ৭-৮ জন হাফপ্যান্ট পরা মুখ বাধা ছিনতাইকারীরা সড়কের ওপর ইপিলইপিল গাছ ফেলে গতিরোধ করে দুজনকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর ছিনতাইকারীরা সড়ক থেকে ৫শ গজ দূরে একটি ভুট্টাক্ষেতের ভেতর নিয়ে গিয়ে দুজনকে হাত-পা চোখ মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। আহসানের কাছ থেকে মোটরসাইকেল নগদ চার হাজার টাকা ও একটি মোবাইলফোন এবং লেবার কালুর কাছ থেকে একটি মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে ছিনতাইকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। হাত-পা চোখ মুখ বাঁধা অবস্থায় প্রায় দু ঘণ্টা পর ক্ষেতের ভেতর অবস্থান করার পর রাত পৌনে ৩টার দিকে একে অপরের বাঁধন খুলে দুজন বাড়িতে ফিরে আসেন।

এলাকাবাসী জানায়, ইতঃপূর্বেও একই জায়গায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও আজও পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সর্বশেষ বেশ কিছু দিন আগে দামুড়হুদা ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল বাশার তার আত্মীয় এডিশনাল ডিআইজি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানকারী পাঁচকমলাপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের মায়ের দোয়া মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে একই জায়গা থেকে ছিনতাইকারীরা সড়কে গাছ ফেলে তার মোটরসাইকেল নগদ টাকাসহ মোবাইলফোন কেড়ে নেয়। বটিয়াপাড়া গ্রামের সাবান মাহমুদ, লোটাস জোয়ার্দ্দার, জাহাঙ্গীর জোয়ার্দ্দার, হারুন-অর-রশিদ, আশাবুলসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন, পাঁচকমলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতেই থাকছে।