দুজন অগ্নিদগ্ধ : কৃষক আত্তাপকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড

আলমডাঙ্গার ডামোশ গ্রামে পেট্রোলের আগুনে দোকানের মালামাল ভস্মীভূত

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ডামোশ গ্রামে দোকানের পেট্রোলে আগুন ধরে গ্রামের নিরীহ দুজন পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ আত্তাপ আলীর অবস্থা গুরুতর। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্য আহত রতনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে দোকানের মালামালও কিছু পুড়ে গেছে। ল্যাম্পে কেরোসিন ঢেলতে গিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন বেলগাছি ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের মাঝপাড়ায় জিরু মণ্ডলের ছেলে জিন্দার আলীর মুদি দোকান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দোকানের মাচায় বেশকিছু লোক বসেছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুদি দোকানের ল্যাম্পে তেল ঢালছিলেন মুদি দোকানি জিন্দার আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুন। এ সময় অসাবধানতাবশত দোকানের কন্টেইনারে থাকা পেট্রোলে আগুন ধরে যায়। রহিমা খাতুন কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ল্যাম্প ও কন্টেইনার ছুড়ে ফেলে দেন দোকানের বাইরে। কিন্তু দোকানের মাচায় বসে থাকা আত্তাপ আলীর (৩৫) কোচের ভেতর গিয়ে পড়ে। সাথে সাথে তার লুঙ্গিসহ শরীরের পোশাকে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন একই গ্রামের খোয়াজ সরদারের ছেলে রতন সরদার (২৫। এ সময় আগুন দোকানেও ছড়িয়ে যায়। দোকানের মালামাল কিছু পুড়ে যায়। ঘটনার পরপরই আলমডাঙ্গা দমকল বাহিনীকে খবর দেয়া হয়। দমকল বাহিনীর সদস্যরা অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গায় নিয়ে আসেন। রতনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মৃত জুব্বার মণ্ডলের ছেলে দরিদ্র কৃষক আত্তাপ আলীকে আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকসূত্রে জানা গেছে, আত্তাপ আলীর শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতরাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয়।

Leave a comment