উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আসাদুল হক বিশ্বাস চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম পিনুর রেকর্ড স্পর্শ করলেন

দীর্ঘ ২৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গা সদর 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে আসাদুল হক বিশ্বাস নির্বাচিত হয়ে সাইফুল ইসলাম পিনুর রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। এর আগে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দু বার জেতার একমাত্র রেকর্ডটি ছিলো সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম পিনুর। রেকর্ড স্পর্শ করলেও এবারের নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের মতোমতের অবশ্য প্রতিফলন ঘটেনি বলেই অভিযোগ।

দীর্ঘ ২৪ বছর পর আরেক নেতা আসাদুল হক বিশ্বাস জননেতা মরহুম সাইফুল ইসলাম পিনুর রেকর্ডটি স্পর্শ করলেন। এছাড়া জেলার আর কোনো নেতার দ্বিতীয় বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড নেই। এছাড়া জীবননগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাফিজুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোহিনুর বেগম পরপর দু বার নির্বাচিত হয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন।

দেশের ইতিহাসে উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। ওই নির্বাচনে তৎকালীন সময়ের বাঘা বাঘা নেতাদের পরাজিত করে জাসদ ছাত্রনেতা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভিপি সাইফুল ইসলাম পিনু নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে। ওই নির্বাচনে জননেতা সাইফুল ইসলাম পিনু পুনরায় নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েন। তৃতীয় দফার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুল হক বিশ্বাস জাসদ নেতা সাইফুল ইসলাম পিনুকে হারিয়ে নির্বাচিত হন।

এদিকে ২০০৯ সালে নির্বাচিত দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুল ইসলাম দ্বিতীয়বারের মতো এবার নির্বাচন করলেও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আজিজুর রহমানের নিকট পরাজিত হন।

অন্যদিকে জীবননগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তবে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. হুমায়ুন কবীর দলীয় সমর্থন না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাচন থেকে পিছিয়ে যান। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হেলাল উদ্দীন বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

Leave a comment