স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি জামায়াতের লোকজন আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এ হামলা চালাচ্ছে বলে সরকার দলীয়রা অভিযোগ করেছেন। আর বিএনপি ও জামায়াতের দাবি নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার ও ভোটডাকাতির জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা বোমা হামলা চালিয়ে আমাদের নামে দোষ চাপাতে চায়।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের নিকটবর্তী যুবলীগ নেতা বিমল বিশ্বাসের বাড়ির সামনে বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিমল বিশ্বাস বলেন মোটরসাইকেলযোগে দুজন এসে বোমা হামলা চালায়। তার দাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লা নতুন জেলখানাপাড়ার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালামের বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। সালাম জেলা শ্রমিক লীগের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। তিনি দাবি করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা এ বোমা হামলা চালায়। এ সব বোমা হামলার ঘটনায় কেউই আহত হয়নি।
অপরদিকে আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে গতরাত ১০টার দিকে পথসভা হওয়ার কথা ছিলো। রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে বিদ্যুত চলে গেলে আশপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। এ সময় সেখানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আশপাশেই ছিলেন চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান কবির, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দীপু, আমির হোসেন, মহসিন রেজা, জাকারিয়া প্রমুখ। তাদের অভিযোগ জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান, মালেক, আবু বকর ও নিজাম এ বোমা হামলার সাখে জড়িত। তবে জামায়াত নেতা, আবু বকর মোবাইলফোনে মাথাভাঙ্গাকে জানান, এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক। আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তারা ভোটের মাঠে আধিপত্য বিস্তার করার জন্যই করছে।