নির্বাচন এলেই কদর বাড়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের ভোটারদের

 

নির্বাচনে জামায়াতের ভোট হবে ট্রামকার্ড

নজরুল ইসলাম: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই দেশের সবকটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করা হচ্ছে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন। পঞ্চমধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মার্চ। নির্বাচনের আরমাত্র বাকি আছে ২ দিন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু থেকে বড় দুটি দলের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও দলের কঠোর সিদ্ধান্ত এবং দল টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। জামায়াতের কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকলেও আ.লীগের দুজন ও বিএনপির রয়েছে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে রয়েছেন।

৩১ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে এখন সর্বত্র যেন বইছে নির্বাচনের বাতাশ। বিশেষ করে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের ভোটাররা নির্বাচনে প্রার্থীর জয় পরাজয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনমুখি মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠছে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহূর্তে ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনী এলাকার গা-গ্রামে ছুটছেন প্রার্থীরা। করছেন কুশল বিনিময়, চাচ্ছেন দোয়া, সমর্থন ও ভোট। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে প্রার্থীর উপস্থিতিতে কিংবা অনুপুস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীরা পক্ষে করছেন নির্বাচনীসভা। ভোটারদের দলে ভেড়াতে প্রার্থীদের মুখে নানান রকম প্রতিশ্রুতি। যে যার মতো কৌশল অবলম্বন করছেন। চারদিকে প্রার্থীদের ছবি সংবলিব পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। আজ শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার প্রচারণা চলবে।  তবে থেমে থাকবে না নীরব প্রচারণা। ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১০  হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে বেগমপুর ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৭৩৬ জন এবং তিতুদহের ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৪৬৮ জন। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস আওয়ামী লীগ সমর্থিত। চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ আঙ্গুর প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থী নেয়। জাতীয় নির্বাচনে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের ভোটাররা ভোট দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে। উপজেলা নির্বাচনে ভোট দেন সদরে। এ দু ইউনিয়নের ভোটাররা ‘ষ’র মতো। তাই নির্বাচন এলে এ দু ইউনিয়নের ভোটারদের কদর একটু বাড়ে। ভোট শেষ হলে অনেকটা অবহেলিত হয়ে পড়ে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত দ্বিমুখি। এ দু ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুল হক বিশ্বাসের রয়েছে ব্যক্তি ইমেজ আর দলীয় সমর্থন। অপরদিকে মজুরও রয়েছে দলীয় সমর্থন। জামায়াতের কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় তাদের ভোট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখবে বলে রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন। জামায়াতের ভোট হবে ট্রামকার্ড। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কারো তুলনায় কেউ পিছিয়ে নেই। এখন শুধু দেখার পালা ৩১ মার্চ কে কে পরবেন বিজয়ের মালা।

Leave a comment