গাংনীর ধানখোলা বাজারে পরিকল্পিতভাবে পাটের গুদামে আগুন

 

অর্ধ কোটি টাকার পাট ও সিমেন্ট পুড়ে ছাই

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা বাজারের একটি পাটের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী। পূর্বশত্রুতার জের ধরে বুধবার রাত ৩টার দিকে গোডাউনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ধানখোলা বাজারের পাট ও রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী মিজারুল ইসলামের গুদামে (দোকান ও গুদাম একসাথে) রাত ৩টার দিকে আগুন দেখে কর্তব্যরত নৈশপ্রহরী আজিল হক খবর দেন। স্থানীয় লোকজনের চেষ্টার পাশাপাশি আগুন নেভাতে মেহেরপুর দমকল বাহিনীতে খবর দেয়া হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পাটভর্তি গুদামে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। সর্বশেষ  প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা করে সকাল ৮টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হন দমকল বাহিনীর সদস্যরা। মিজারুল ইসলাম আরো জানান, গুদামের পেছনের দিকে গ্রিল। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে আগুন দেয়া হয়। কেননা দোকানের সামনের দিকে বৈদ্যুতিক মিটার ও লাইন রয়েছে। পাট যে পাশে থাকে সেখানে বিদ্যুতের কোনো লাইন নেই। কাজেই ওই গ্রিলের ফাঁক ছাড়া আগুন দেয়ার কোনো পথ নেই। যেহেতু নৈশপ্রহরীরা সামনের দিকে থাকে তাই সুযোগ বুঝে দুর্বৃত্তরা পেছন দিয়ে আগুন লাগিয়ে সহজেই পালিয়ে যেতে পেরেছে।

মেহেরপুর দমকলের উপসহকারী পরিচালক আনছার উদ্দীন জানান, পাটের গাইটের মধ্যে আগুন লেগে যাওয়ায় নেভাতে অনেক দেরী হয়েছে। তাছাড়া দোকানের সিমেন্টেও আগুন লাগে। এটি জেলার সবচেয়ে বড় আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে উল্লেখ্য করেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মিজারুল ইসলাম আগুন লাগার পর থেকেই বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, ব্যবসার সাথে কেন এ শত্রুতা? আমিতো কারও ক্ষতি করিনি। আগুনে ১৪শ মণ পাট, ১৫শ বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। এতে অর্ধ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।

স্থানীয় লোকজন অভিন্ন মতামত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ওই ব্যবসায়ীর সাথে কারো দৃশ্যমান কোনো শত্রুতা নেই। সবার সাথে মিশুক ও ভালো ব্যবহারের অধিকারী। তাই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকার মানুষ।

Leave a comment