দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের আয়না খাতুন তার স্বামী লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা শহরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। আয়না খাতুন সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী জিনারুলের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতির পর প্রতিবেশীসহ আমরা তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় তাদের কাছে প্রতিবেশীরা জানতে চায়, ডাকাতির সময় কাউকে চিনতে পেরেছো কি-না। এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানায়, তারা কাউকেই চিনতে পারেনি। এর কিছু দিন পর একই গ্রামের কদমতলার আনোয়ারের ছেলে বিভিন্ন মামলার আসামি বহু অপকর্মের হোতা দেলোয়ারের প্ররোচণায় পড়ে জিনারুলের স্ত্রী আলোচিত ময়না খাতুন বাদী হয়ে লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর থানা থেকে তদন্ত করে ডাকাতি ঘটনার প্রমাণ না মেলায় ওই অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেনি। এতেও থেমে থাকেনি ওই দেলোয়ার। সে আবারো প্ররোচণা যুগিয়ে ময়নাকে দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দামুড়হুদা থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগটি মামলা হিসাবে রুজু করার আবেদন জানান। আদালত ১৫ দিনের মধ্যে মামলাটি রুজু করার বিষয়ে একটি আদেশ দিলে দামুড়হুদা থানার ওসি আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে গত ১২ মার্চ ১৪ ধারা ৩৯৫/৩৯৭/৩৪ দণ্ডবিধিতে মামলাটি নথিভুক্ত করে। যার নম্বর-১৪। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির দাবি জানিয়ে আয়না খাতুন উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে বলেন, তার স্বামী একজন অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। তাই গ্রামের মেম্বারসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি আমার স্বামীর পক্ষে গণস্বাক্ষর করে থানায় জমা দিয়েছে। তারপরও যদি তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয় তাহলে তার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যাবে। নষ্ট হবে দুটি শিশুর জীবন।