কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

 

বাজারগোপালপুর প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের খাঁপাড়ার রাজমিস্ত্রি এক সন্তানের জনক জহিরের বিরুদ্ধে বাক প্রতিবন্ধী কুমারীরকে ফুঁসলিয়ে দেহভোগ করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে কুমারী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ছেলে পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবারটি সুবিচার পাচ্ছে না। অন্যদিকে মামলা করলেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে অসহায় পরিবারটি পথে পথে ঘুরছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের তালসার গ্রামের খাঁপাড়ার মনু খাঁর ছেলে রাজমিস্ত্রি এক সন্তানের জনক জহির পার্শ্ববর্তী পাড়ার এক বাকপ্রতিবন্ধী কুমারীকে কৌশলে দীর্ঘদিন দেহভোগ করে আসছিলো। জহিরের আচরণে সন্দেহ হলে মেয়েটির পরিবার নিষেধ করার পরও থামেনি তার লাম্পট্য। অন্যদিকে মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় আগে থেকে পরিবারটি কোনো কিছু বুঝতে পারেনি। কিন্তু দিন যতো গড়াতে থাকে মেয়েটি শারীরিক পরিবর্তন আসতে থাকলে চিন্তিত হয়ে পড়ে মেয়েটি পরিবার। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জনৈক ডা. আল্টাস্নোগ্রাফি করে মেয়েটি গর্ভবতী তা নিশ্চিত করলে মেয়েটির পরিবার সমাজ পতিদের নিকট নিরশনের জন্য জানান, কিন্তু ছেলের পরিবারটি প্রভাবশালী হওয়ায় সমাজপতিরা দফায় দফায় বিচারের নামে তামাশা করে কালক্ষেপণ করছেন, অন্যদিকে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না অসহায় পরিবারটি।

এ বিষয়ে কথা হয় মেয়েটির মায়ের সাথে। তিনি বলেন, মেয়ের পিতা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। আমি মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করে আসছি। মেয়ে বাড়ির পাশে একটি মিষ্টির কারখানায় কারিগর হিসেবে কাজ করে। ওই ছেলেটি বিভিন্ন অজুহাতে এসে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো। আমি নিষেধ করার পরও সে এ অপকর্ম করেছে। আমরা গরিব তাই কোনো জায়গায় গিয়ে সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। গ্রামের লোকজন বিচার করার নামে তামাশা করে দিন কাটাচ্ছে। মামলা করলেও হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে মামলা করতে পাচ্ছি না। তিনি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), শাহাজাহান আলী খানের নিকট জানান চাইলে তিনি জানান, ঘটনাটি জেনেছি। তবে মেয়ের পরিবারকে মামলা করার জন্য বললেও তারা থানায় কোনো মামলা করেনি। তবে শুনেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। এরপর দুজন উপপরিদর্শক এএসআই জমির হোসেন ও এএসআই মনির হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম এবং শরিফুল ও আব্দুল মান্না নামে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তারা ছেলে পক্ষের নিকট থেকে এ বিষয়ে তথ্য দেয়ার শর্তে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

Leave a comment