স্টাফ রিপোর্টার: গ্রীস্মের আর প্রায় পক্ষকাল বাকি। বসন্তের বিদায় বেলায় কালবোশেখি একা আসেনি, সাথে নিয়েছে শিলা। শিলাবৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় মশার উৎপাত কিছুটা কমবে বলে মন্তব্য অভিজ্ঞজনের।
গতকাল সন্ধ্যার পরপরই চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বয়েছে ঝড়ো বাতাস। এবারও শীত বিদায়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গার অরক্ষিত ড্রেন এবং প্রায় পানিশূন্য পুকুর ও ডুবানালাগুলো মশার কারখানায় রূপ নেয়। এবারের চৈত্রমাসে যতোটা না গরমে মানুষ অতিষ্ঠ, তার চেয়ে অনেক বেশি মশার উৎপাতে বিষিয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। মরসুমের প্রথম কালবোশেখি যতোটা শীতল স্বস্তি দিয়েছে, তার চেয়ে বেশি মশা হ্রাসের আশা জাগিয়েছে।
গাংনী প্রতিনিধিজানিয়েছেন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া, কাজিপুর ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৮টা থেকে আধা ঘণ্টাব্যাপি এ শিলাবৃষ্টি ঝরে। এতে গম ও তামাকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চরগোয়ালগ্রাম, রামনগর, ভবানীপুর, বেতবাড়িয়া, পীরতলা, নওদাপাড়া, কাজিপুর, করমদি, তেঁতুলবাড়িয়া ও খাসমহল এলাকায় শিলা বৃষ্টি পড়ে। এতে তামাক ও গমসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একইসময় মৃদু ঝড়েও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। খাসমহল গ্রামের বয়োদৃদ্ধ আখের আলী জানান, এতো বড় আকারের শীলা তিনি অনেকদিন দেখেননি। ৫০ থেকে একশ’ গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টি পড়েছে।
দামুড়হুদা অফিস জানায়, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশ কালো মেঘে আছন্ন হয়ে পড়ে। মেঘের মৃদু গর্জনের সাথে বিদ্যুত চমকানিতে দামুড়হুদা বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। রাত ৮টার দিকে শুরু হয় তুমুল শীলা বৃষ্টি সেইসাথে মেঘের ভয়ঙ্কর গর্জন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে শীলা বৃষ্টি হওয়ায় এলাকার আমবাগান ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত ওঠে। আমবাগান ব্যবসায়ী নায়েব আলী জানান, এ শীলা বৃষ্টির কারণে আমবাগানগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করবে। কারণ যে সকল আমের গুটিতে শিলা বৃষ্টি আঘাত হেনেছে সেকল গুটিগুলো কয়েক দিনের মধ্যে ঝরে পড়বে। তাতে বাগানে ফলন কম হবে এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে।