ব্যালট ছিনতাই করলে গুলি : গ্রেফতারের ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী

চতুর্থ ধাপে জীবননগর ও হরিণাকুণ্ডুসহ দেশের ৯১ উপজেলায় ভোট আজ

স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে এসে এবার ব্যালট ছিনতাইকারীদের সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনকে ঘিরে সর্বত্রই উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার মধ্যে গতকাল শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কমিশন এ নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশনার আগে হঠাত সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি ইমেইলে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। এরপরেও সহিংসতার আশঙ্কার ভেতরে আজ রোববার ৪৩ জেলার ৯১ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ধাপে ধাপে নির্বাচনী সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ ধাপে অতিরিক্ত সতর্কাবস্থা গ্রহণ করেছে কমিশন। সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে বলা হয়েছে, শুধু স্ট্রাইকিংফোর্স হিসেবে টহল নয়, নির্বাচনী এলাকায় তাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে ঘটনা ঘটলে অ্যাকশনে যেতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেছেন, নির্বাচনে ব্যালট ও বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেই গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যেন কালো হাত না বাড়ায়, কালো হাত বাড়ালে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। নির্বাচনে বিশৃঙ্খলাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীকে বলা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও প্রার্থী-ভোটারদের মধ্যে সহিংসতার আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না। ভোট শুরুর আগেই বিভিন্ন এলাকায় প্রতিপক্ষ এজেন্টদের মারধর করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগমুহূর্তে ছয় পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। তবে গত তিনটি ধাপের নির্বাচনে সহিংসতা, জাল ভোট, ব্যালট ছিনতাই, গুলি এবং কেন্দ্র দখলসহ নানা ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হলেও সহিংসতা থামছে না। নির্বাচন পূর্বে বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা বাড়তেই আছে। রাতে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

নির্বাচনের আগেরদিন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ২১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে কমিশন। ওই উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। কক্সবাজারের রামু ও কুতুবদিয়ায় ভোট কারচুপির আশঙ্কা করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শুক্রবার রাতে চা শ্রমিকের ঘর ভস্মীভূত ও প্রতিপক্ষের কর্মীদের মারধর এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষ এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে ক্ষমতাসীন সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীরা।

এ নির্বাচনে গত তিন ধাপের চেয়েও বেশি সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বেশকিছু উপজেলায় কেন্দ্র দখলের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকারের দল সমর্থিত প্রার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে, অনেকটাই ফাঁকা মাঠে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে চান আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থী। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীরা। আবার প্রভাবিত করতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ডিসি-এসপিদের ফোনও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। কোনো কোনো প্রার্থী ভোট ডাকাতির প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। যশোর সদর, সাতক্ষীরার কলারোয়া, ঝালকাঠির নলছিটি, কিশোরগঞ্জের ইটনা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ভোলার মনপুরা, দৌলতখান, বাগেরহাটের মোল্লারহাট, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, বরিশালের আগৈলঝাড়া, ফেনীর ফুলগাজী ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আজ নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা করছেন প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে ১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ১১টি, ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে সহিংসতার কারণে নোয়াখালী সদর উপজেলাসহ ১৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেয় ইসি। ওইদিন নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ভোট কেন্দ্রে দু পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে এক যুবক নিহত হন। তৃতীয় ধাপে ১৫ মার্চের নির্বাচনে ৩১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হলেও সহিংসতায় ৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কমিশনে প্রেরিত তথ্য মতে, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮২টির মধ্যে এ ধাপে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার।

ব্যালট বাক্সে হাত দিলেই গুলি: দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যালট বাক্সে হাত দিলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি চালাতেও বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যালট বাক্সে কেউ হাত দিলে সরকারি গুলি খরচ করে গুলি চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিশন এটা চায় না। তবে কেউ এমনটি করলে তাই করা হবে। এছাড়া নির্বাচনকালীন কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। আইনের আওতায় সর্বশেষ অবস্থা অনুযায়ী কমিশন ব্যবস্থা নেবে। কেউ যদি মনে করে নির্বাচন হয়ে গেলে কমিশন কিছু করতে পারবে না তা ভুল। গতকাল নির্বাচন পূর্ব সংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাবাহিনী মোতায়েনে মোবারক বলেন, সিআরপি-র ১৩১ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর দৃষ্টির মধ্যে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। ১৮৯৮ সাল থেকে এ আইনটি ছিলো। কমিশন এবার এ আইনটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জনগণ ও ভোটারদের ওপর সম্মান প্রদর্শন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। ভোটারসহ কারো অধিকার ব্যাহত হলে কমিশন চুপ থাকবে না। ভোটারদের ভোটাধিকার ব্যাহত হওয়া কমিশন কখনো বরদাশত করবে না। তিনি নির্বাচনী সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর বাড়াবাড়িকে দায়ী করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তাদের সমর্থিত প্রার্থীকে জয়ী করাতে কেন্দ্রীয়ভাবে মরিয়া হয়ে ওঠার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ কারণে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশন প্রত্যেক এলাকার সহিংসতা রোধে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সাথে কথা বলে সহিংসতার আশঙ্কা থাকলে আগেই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিইসির উদ্বেগ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সহিংসতা ছাড়া উপজেলা নির্বাচন শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও বলেছেন তিনি। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো দুটি ইমেইল বার্তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি। সিইসির ই-মেইল পেয়ে গতকাল শনিবার কমিশন বৈঠকে বসে আলোচনার পর মাঠ পর্যায়ে ওই নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনরত সারাদেশের রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে সিইসির বার্তা পাঠানো হয়েছে। সিইসি বলেন, উপজেলা নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই তার অনুপস্থিতিতেই দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে তিনি খুবই আশাবাদী বলে জানান। তবে কোনো সহিংসতা ছাড়াই আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচন আরো অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান নেবে কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে নিজেদের সব সামর্থ্য দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।

সিইসির নির্দেশনামূলক এ ইমেইলে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে ইসি। তার নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইসি সচিবালয় থেকে একটি প্রতিবেদন কমিশনে উত্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের মাঝপথে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া কাজী রকিবের আগামী মাসের শুরুতে ফেরার কথা রয়েছে। তার এই সফর নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা রয়েছে।

ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত ইসি: চতুর্থ ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৩টি পদের জন্য মুখোমুখি হবেন এক হাজার ১৮৬ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৮৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮৫ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১২ জন। এ ৯১ উপজেলায় এক কোটি ৩৮ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ লাখ ৭ হাজার এবং নারী ভোটার ৬৯ লাখ ৫১ হাজার। মোট ভোটকেন্দ্র পাঁচ হাজার ৮৮২টি। প্রিসাইডিং অফিসার পাঁচ হাজার ৮৮২ জন। ভোটকক্ষ ৩৭ হাজার। নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে করতে ৩৬৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

৯১ উপজেলা হলো: ঢাকার ধামরাই, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ ও ফুলবাড়ী, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, বগুড়ার গাবতলী, রাজশাহীর তানোর, পুটিয়া ও বাগমারা, নাটোরের বড়াইগ্রাম, সিরাগঞ্জের চৌহালী, পাবনার ঈশ্বরদী ও ফরিদপুর, নড়াইল সদর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু, যশোরের সদর ও কেশবপুর, বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট, খুলনার ফুলতলা, তেরখাদা, রূপসা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ, সাতক্ষীরার কলারোয়া, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর সদর, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ, বাউফল ও দুমকী, ভোলার তজুমুদ্দিন, মনপুরা ও দৌলতখান, বরিশালের আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও বানারীপাড়া, ঝালকাঠির সদর, কাঠালিয়া, রাজাপুর ও নলছিটি, পিরোজপুরের সদর, জিয়ানগর, ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের কালিহাতি, ভুয়াপুর, নাগরপুর ও মধুপুর, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নেত্রকোনার মদন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, ইটনা, কটিয়াদি, মিঠামইন ও তাড়াইল, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, সুনামগঞ্জের শাল্লনা ও ধর্মপাশা, সিলেটের সদর ও কানাইঘাট, মৌলভীবাজারের সদর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জের সদর, আজমেরীগঞ্জ, লাখাই, নবীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আখাউড়া ও নাসিরনগর, কুমিল্লার মেঘনা ও বরুড়া, চাঁদপুরের শাহরাস্তি, ফেনীর সোনাগাজী ও ফুলগাজী, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও সাতকানিয়া, কক্সবাজারের রামু ও কুতুবদিয়া, রাঙামাটির জুড়াছড়ি এবং বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি।

নির্বাচন কমিশন চতুর্থ ধাপে ৯৩টি উপজেলার তফশিল ঘোষণা করলেও দু কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শেরপুরের সদর উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে পৃথকভাবে একই দিনে ঢাকার ধামরাই উপজেলাতে নির্বাচন।

Leave a comment