এবারও পারলো না পাকিস্তান

স্টাফ রিপোর্টার: টুর্নামেন্টের নাম ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি। কিন্তু গণমাধ্যমের কল্যাণে এ টুর্নামেন্টের নামে যোগ হয়েছে বিশ্বকাপ। তাই অতীত পরিসংখ্যানটাও চলে যায় ভারতের পক্ষে। কারণ বিশ্বকাপ নামক টুনার্মেন্টে ভারতকে কোনোদিনও হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এবারও পারলো না। পাকিস্তানের দেয়া ১৩১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে খুব একটা বেগ পোয়াতে হয়নি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। মাঝপথে পরপর ভারতের ৩ উইকেট পতন হওয়ায় নিষ্প্রাণ ম্যাচ কিছু সময়ের জন্য হলেও প্রাণ ফিরে পেয়েছিলো। তবে এখানেই শেষ; রাইনা ও কোহলির কল্যাণে পাক-ভারত ম্যাচের চিরাচরিত দৌরাত্ম্য দেখতে পেল না মিরপুর।

ব্যাট করতে নেমে ভারতের উদ্বোধনী জুটি দ্রুতই অতিক্রম করে অর্ধশত রান। উমর গুলের অষ্টম ওভারের শেষ বলে ডিপ ফাইন লেগে সাঈদ আজমলের হাতে ধরা পড়েন শিখর ধাওয়ান। দশম ওভারে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে দলকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন সাঈদ আজমল। পরের ওভারের প্রথম বলে যুবরাজ সিংকে বোল্ড করেন বিলাওয়াল ভাট্টি। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মূল পর্বের প্রথম খেলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩০ রান করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওভারে বোলার ভুবনেশ্বর কুমারের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হয়ে কামরান আকমলের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ভারতীয় বোলারদের মোকাবেলা করে রান তুলতে বেগ পোয়াতে হয় আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজদের। ব্যক্তিগত ৫ রানে জীবন পাওয়া হাফিজকে নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। পরের ওভারে অমিত মিশ্রর বলে শেহজাদ স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলে অস্বস্তিতে পড়ে পাকিস্তান। শোয়েব মালিকের সাথে ৫০ রানের জুটি গড়ে বিপদ কাটান উমর আকমল। ষোড়শ ওভারে শোয়েব মালিককে সুরেশ রায়নার ক্যাচে পরিণত করে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মিশ্র। শোয়েবের বিদায়ের পর পাকিস্তানের রানের গতিতে ভাটা পড়ে। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন উমর আকমল ও শহীদ আফ্রিদি। সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে উমর আকমলের ব্যাট থেকে।

Leave a comment