স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া স্বর্ণা আক্তার (৬) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া নরসিংদীর পলাশ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে খুন হয়েছে তিনজন। নরসিংদীর ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: কিশোরগঞ্জ: নিহত স্বর্ণা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের হাদিছ মিয়া ও রানু বেগমের মেয়ে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, কিছুদিন আগে পাশের গাঙগাইল গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার সঙ্গে রানু বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সপ্তাহ খানেক ধরে কাঞ্চন তাঁর কাছে চলে যাওয়ার জন্য রানুর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু রানু অস্বীকৃতি জানান। এরপর গত শুক্রবার স্বর্ণা নিখোঁজ হয়। এলাকাবাসী গতকাল রোববার এলাকার নরসুন্দা নদীর পাশে শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা গতকাল বিকেলে জানান, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কাঞ্চন পলাতক।
নরসিংদী: পলাশের সুলতানপুর এলাকায় মনিরুজ্জামান (৩৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক খুন হন। গত শনিবার রাত ১২টার দিকে চারজনের একটি দল মনিরুজ্জামানের অটোরিকশাটি ভাড়া নেয়। সুলতানপুর এলাকায় এসে তারা চালকের হাত-পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। পাঁচদোনা এলাকায় পুলিশ দেখে দুই ছিনতাইকারী অটোরিকশা থেকে নেমে দৌড় দেয়। পুলিশ বাকি দুজন শফিকুল ইসলাম (২১) ও আহসান উল্লাহকে (২৩) আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ছিনতাই ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল ভোরে মনিরুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করা হয়। পলাশ থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, নিহতের স্ত্রী রওশন আরা একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তাহিরপুর: উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লালঘাট গ্রামের একটি মাঠ থেকে শনিবার রাতে ফজলুল হক (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আবদুল কদ্দুছের ছেলে। নিহত যুবকের পিঠে ছুরিঘাতের চিহ্ন ছিল। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাহিরপুর থানার ওসি আনিসুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মির্জাপুর: গতকাল বেলা ১১টার দিকে কাঠ ব্যবসায়ী আবদুর রহিম (৩৫) উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের হাঁটুভাঙা বাজারসংলগ্ন একটি স্থানে কাঠ রাখতে গেলে প্রতিপক্ষ চিতেশ্বরী গ্রামের আবুল বাশার বাধা দেন। এ নিয়ে বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে আবুল বাশার দুই ছেলে ও কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে আবদুর রহিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির চাচা সাতজনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।