গাংনী প্রতিনিধি: স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের রোষানলে পড়ে নিঃস্ব হতে চলেছেন মেহেরপুর গাংনী শহরের রেডিও মেকার হাসান কবির রানা। অপকর্ম আড়াল করতে উল্টো রানার নামেই মিথ্যা মামলা করেছেন স্ত্রী শামীমা খাতুন। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে এখন অসহায় জীবন-যাপন করছেন রানা। বিচারের আশায় ঘুরছেন বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
জানা গেছে, চৌগাছা গ্রামের মৃত হুমায়ন কবিরের ছেলে হাসান কবির রানার সাথে গাংনী উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের মৃত ফয়জুদ্দীনের মেয়ে শামীমা খাতুনের বিয়ে হয় বেশ কয়েক বছর আগেই। ২০০৬-২০০৮ সাল পর্যন্ত রানা দুবাই থাকার সময় স্ত্রী শামীমা খাতুন পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। টিপু সুলতান নামের এক ব্যক্তির সাথে শামীমার সম্পর্ক বুঝতে পারে ছেলে হিরক কবির রাজ। রানাকে বিষয়টি না বলার জন্য শামীমা ছেলেকে চাপ দেয়। কিন্তু বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে ছেলের কাছ থেকেই সবকিছু জানতে পারেন রানা। তার পরেও সংসারের কথা ভেবে সবকিছু মেনে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিদেশে কষ্টার্জিত অর্থের হিসাব চাইলে স্ত্রীর সাথে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। স্ত্রীর আচরণ ও চলাফেলার সন্দেহ বেড়ে যায়। দাম্পত্য কলহ আরো বাড়তে থাকে। রানা কৌশলে স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রথম পক্ষের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস রিপনার মোবাইলফোনে কল ভয়েস ও কল রেকর্ড সংগ্রহ করেন। এতে তাদের পরকিয়াসহ অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পরিস্কার হয়। এতে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে রানাকে শায়েস্তা করার ফন্দি বের করেন শামীমা ও তার মেয়ে রিপনা। গত বছরের ৬ অক্টোবর নগদ টাকা, সোনার গয়না ও সংসারের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে বানিয়াপুকুর গ্রামে পিতার বাড়িতে পালিয়ে যায় শামীমা।
স্ত্রীকে সংসারে ফেরাতে রানার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে রানার নামে আদালতে যৌতুকের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন শামীমা। নিরুপায় হয়ে গয়না ও টাকা ফেরত পেতে স্ত্রীর নামে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের এবং চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী গাংনী পৌরসভায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন রানা। দুটিতেই নিজের পক্ষে রায় পান তিনি। নিজের দায়ের করা মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে রানাকে বিভিন্নভাবে হেস্তনেস্ত করার অপকৌশল গ্রহণ করেন শামীমা। বানিয়াপুকুর গ্রামের খলিলুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম শামীমার পক্ষ নিয়ে রানাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। তাদের সাথে শামীমার বিভিন্ন সম্পর্কের অভিযোগ করে বলেন, তারা শামীমার আত্মীয়স্বজন না হয়েও তার জন্য এতো দরদ কেন? রানা জানিয়েছেন, মায়ের অবহেলাসহ বিরুপ আচরণে ছেলে রাজ পাগল প্রায়। তাই ছেলেকে নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।