খাইরুজ্জামান সেতু/সাইফ জাহান: বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেও মিতা ও হৃদয় একে অপরের কাছে যেতে পারলেন না। যেমন বাধা হলো ট্রেন তেমনই বাধা হলো স্টেশনের লোকসহ পুলিশ। ট্রেনের হুইসেল বাজলো। ট্রেন ঝক ঝক করে চললো। যতদূর চোখ যায় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলেন মুনজুর আহমেদ হৃদয়। তাকিয়ে দেখলেন মিতা। তাছাড়া তাদের কিছুই করার নেই।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় খুলনাগামী ট্রেন এসে থামলো চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে। চুয়াডাঙ্গা নেহালপুর গ্রামের হামিদুলের মেয়ে মিতা পাশের গ্রামের শ্রীকোল বোয়ালিয়ার মরজ্জেমের ছেলে শাহাবুলের সাথে দাঁড়িয়ে আছে নাটোরের ছেলে মুনজুর আহমেদ হৃদয়ের জন্য। তারা দুজন পরের ট্রেনে নাটোর ফিরবেন এটাই জানালেন মিতা। কিন্তু নামলো না হৃদয়। এদিকে স্টেশনের লোক মিতাকেও উঠতে দিলো না ট্রেনে। ট্রেনে চলে গেলো হৃদয়। শুরু হলো গোলোযোগ। খবর পেলো পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল খায়ের উপস্থিত হয়ে মিতা ও তার সাথে থাকা শাহাবুলকে উদ্ধার করে নিলেন থানায়।
মিতা জানান, নাটোরের ছেলে মুনজুরুল আহম্মেদ হৃদয়ের সাথে মোবাইলফোনে রং নম্বরে পরিচয়। তারপর মন দেয়া-নেয়া হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে চুয়াডাঙ্গায় আমরা বিয়ে করি। হঠাত করে মায়ের সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হই। উঠি আমার পূর্বপরিচিত পাশের গ্রাম শ্রীকোল বোয়ালিয়ার মরজ্জেমের ছেলে শাহাবুলের বাড়িতে। দু দিন থাকার পর (আজ) গতকাল নাটোর থেকে এসে হৃদয়কে আমার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। এরই মধ্যে এ বাধা।
পরে পুলিশ তাদের দুজনকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।