স্টাফ রিপোর্টার: দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসনের প্রার্থীদের নির্বাচনী কাজের জন্য আজ রাষ্ট্রায়ত্ত ৪টি ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাংকগুলোর সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি শাখার প্রায় ৬০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার তাদের
কাজ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন ৯ মার্চ রোববার। তার আগের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে পড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের সব শাখা শনিবার খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে সরাসরি নির্বাচন হয় না। আসন সংখ্যার অনুপাতে দলগুলোর মধ্যে নারী আসন বণ্টিত হয়।
দশম সংসদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ৪১টি নারী আসন পাচ্ছে। জাতীয় পার্টি ৬টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট ৩টি আসন পাবে।
ফলে দলগুলোর মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার নজির অতীতে দেখা যায়নি। ফলে ৫০ আসনের জন্য ৫০ জনের মনোনয়নপত্রই জমা পড়ে।
প্রার্থীদের জামানত বাবদ ট্রেজারি চালান, পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট করার জন্য ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হয়। আর সেই সেবা দিতে রূপালী ব্যাংকের পাঁচশর বেশি শাখা, সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ২০০ এর বেশি, অগ্রণী ব্যাংকের ৯০০ এবং জনতা ব্যাংকের ৮৮৩টি শাখা খোলা থাকবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এসব শাখা খোলা রাখলে ব্যাংকগুলোর দৈনিক ব্যয়ের হিসাবে খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
সোনালী ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২৩ হাজারেরও বেশি, রূপালী ব্যাংকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার, অগ্রণী ব্যাংকে ১৬ হাজার এবং জনতা ব্যাংকে ১৫ হাজারের বেশি। ছুটির দিনে অফিস করতে বাধ্য হওয়া সোনালী ব্যাংকের একজন সিনিয়র অফিসার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রকম হঠাত করে নেয়া সিদ্ধান্তে অনেক সময়ই আমরা বিড়ম্বনায় পড়ি।
যে উদ্দেশের কথা বলে ব্যাংক খোলা রাখা হয়, তার কোনোকিছুই হয় না। বরং আমাদের ছুটির দিনটি পরিবারকে সময় দেয়া হয় না এবং অনেকের ব্যক্তিগত কাজের পরিকল্পনাও থাকলেও তা ভেস্তে যায়। এর আগে হরতাল-অবরোধের সময় সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ব্যাংক কর্মীদের অফিস করতে হয়েছিলো। সংসদ নির্বাচনের সময় ছুটির দিনে অফিস করার পাশাপাশি ভোটের দায়িত্বও পালন করতে হয় অনেককে।
ব্যাংককর্মীদের অসন্তোষের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম মাহফুজুর রহমান বলেন, জাতীয় প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আমরা এ নির্দেশনা দিয়েছি।