মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ ইনতাজকে (৩৭) পিটিয়ে আহত করেছেন ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনিরের লোকজন। পৌরসভার রেস্ট হাউজে অবস্থানকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আহত ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইনতাজ জানান, পৌর মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ মতু এক নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রিপন হত্যা মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘদিন মেহেরপুরের বাইরে অবস্থান করেন। ওই সময় প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন পরবর্তীতে নির্বাচিত এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনি। মেয়রের অনুপস্থিতিতে তিনি পৌরসভার রেস্ট হাউজের একটি কক্ষ দখল করে সেখানে নিয়মিত অবস্থান করেন। সম্প্রতি মেয়র মেহেরপুরে ফিরে আসেন। রোববার দুপুরে কয়েকজন কাউন্সিলর রেস্ট হাউজের ওই কক্ষে বসে গল্প করছিলেন। ওই সময় কাউন্সিলর মনি গিয়ে তাতে বাধ সাধেন। এতে অন্য কাউন্সিলরদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয় মনিরুল ইসলাম মনির। বিষয়টি নিয়ে মেয়রের কাছে অভিযোগ করলে মেয়র জানান, সকল কাউন্সিলরের অধিকার রয়েছে রেস্ট হাউজের কক্ষ ব্যবহারের। এতে ক্ষিপ্ত হন কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনি।
তিনি আরো জানান, গতকাল বিকেলের পর পৌরসভার কাউন্সিলররা পৌরসভার উন্নয়নের জন্য রেস্ট হাউজে বৈঠকে বসেন। কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনিও ওই বৈঠকে অংশ নেন। তবে তিনি তার বেশ কিছু অনুসারীদের সাথে নিয়ে তাদের রেস্ট হাউজের আশপাশে অবস্থান করতে বলেন। বৈঠক শেষে কাউন্সিলররা বাইরে বের হলে মনিরুলের অনুসারীরা পেছন থেকে তাদের ধাওয়া করে। ওই সময় যে যার মতো পালিয়ে গেলেও ইনতাজ পড়ে যান সামনে। তাকে পিটিয়ে যখম করে তারা। ইনতাজ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সেল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মেহেরপুর পৌর মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ মতু জানান, রেস্ট হাউজ ব্যবহার নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে। ওই ঘটায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে রাতে জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, মেহেরপুর মুক্তিযোদ্ধা একতা ক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান হ্যাবল তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করেছেন।