স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল রোববার মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের দু ধারের গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরে’ এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় গাছ চুরিরোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিদর্শনে গিয়ে মিলেছে গাছ চুরির সত্যতা। আজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হতে পারে মামলা।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, ২০০২ সালে চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি নিজস্ব অর্থায়নে সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা-আন্দুলবাড়িয়া পাকা সড়কের দু ধারে শিশু, ইপিলইপিল, বাবলা, কড়ুইসহ বিভিন্ন জাতের বনজ গাছ লাগায়। বর্তমানে গাছগুলো বেশ মোটা ও সারি হয়েছে। কিন্তু রাতের আঁধারে স্থানীয় কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় গহেরপুর গ্রামের কতিপয় সংঘবদ্ধ চোরচক্র গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় গতকাল রোববার প্রকাশিত হলে দৃষ্টিগোচর হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল আমিন তড়িৎ পদক্ষেপ হিসেবে স্থানীয় তিতুদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেন সরেজমিনে তদন্ত করার। ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান গতকালই সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে দেখেন, ওই সড়কের দু ধারের বহু গাছ কেটে নিয়ে গেছে চোরচক্র। যার নমুনা হিসেবে রয়েছে গাছ কাটা মাটির গর্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদন দাখিল হলে আজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। এদিকে বিষয়টি টের পেয়ে চোরচক্রের কতিপয় সদস্য শুরু করেছে দৌঁড়ঝাঁপ। অভিযুক্তরা ধরা পড়লে বেরিয়ে পড়বে স্থানীয় সেই আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা প্রভাবশালী কতিপয় অসাধু রাঘব বোয়ালদের নাম।